বন্ধ ঘোষিত রাষ্ট্রীয় ২৫টি পাটকল এবং ৬টি চিনিকল সরকারী পরিচালনায় চালু ও আধুনিকায়ন, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগ এবং আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে নিয়োগ বন্ধসহ স্কপের ৯ দফা মেনে নেওয়ার দাবিতে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্কপ সুনির্দিষ্ট ভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছিল মাত্র ১২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাটকলগুলিকে আধুনিকায়ন করে লাভজনক করা সম্ভব। কিন্তু সরকার দুর্ণীতিগ্রস্থ আমলাতন্ত্রের সুপারিশে লোকসানের অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রীয় পাটকলসমূহ বন্ধ করে করোনাকালে হাজার হাজার শ্রমিককে বেকারত্বের দিকে ঠেলে দিল। পর্যায়ক্রমে চিনিকলসমূহ বন্ধ করার অংশ হিসাবে ইতিমধ্যে ৬টি চিনিকলের উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ রাষ্ট্রিয় পাটকল ও চিনিকল সমূহ সরকারী মালিকানায় চালু ও আধুনিকায়ন করার দাবি জানিয়ে বলেন, সাধারন আয়-ব্যায়ের পার্থক্য দিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানের লাভ-লোকসান নির্ধারিত হতে পারেনা। নেতৃবৃন্দ, আই.এল.ও কনভেনশনের অনুসরণে শ্রম আইন ও বিধিমালার সংশোধন করাসহ স্কপের ৯ দফা মেনে নেওয়ার আহবান জানান।
স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্কপের অপর যুগ্ম সমন্বয়ক বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি সহিদুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, খলিলুর রহমান, শামীম আরা, আমিরুল ইসলাম আমিন, শাকিল আক্তার চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন