শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের খুলনা জেলার সাবেক সভাপতি প্রিন্সিপাল মোস্তফা আব্দুল মালেকের সুস্থতায় দোয়া কামনা

প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মোস্তফা শফিক, কয়রা (খুলনা) থেকে

দক্ষিণ খুলনার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি প্রতিষ্ঠান কয়রা উত্তর চক আমিনিয়া বহুমুখী কামিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল আলহাজ মোস্তফা আব্দুল মালেক। পাশাপাশি তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এতিমখানা, হেফজখানা, মহিলা মাদরাসা ও মসজিদ প্রতিষ্ঠা করে এলাকায় ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। তিনি এখন গুরুতর অসুস্থ। সম্প্রতি সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, খুলনা জেলার সর্বদক্ষিণে কয়রা উপজেলার ৪ নম্বর কয়রা গ্রামের মরহুম আলহাজ দবির উদ্দীন গাজীর সুযোগ্য পুত্র প্রিন্সিপাল আলহাজ মোস্তফা আব্দুল মালেক ১৯৭৯ সালে কয়রা সিদ্দিকীয়া মাদরাসায় জুনিয়র শিক্ষক হিসেবে চাকরিরত থাকাকালীন তার পিতার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৯৮৩ সালে নিজের জমির ওপর ইবতেদায়ী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৪ সালে ইবতেদায়ী মাদরাসা অনুমোদন লাভ করে, ১৯৮৬ সালে দাখিল, ১৯৮৮ সালে আলিম (বিজ্ঞান), ১৯৯০ সালে ফাজিল ও ১৯৯৮ সালে কামিল বহুমুখী মাদরাসা হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক সুনাম অর্জন করে। পাশাপাশি জেডিসি, দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবেও প্রতিষ্ঠানটি সুনাম অব্যাহত রেখে চলেছে। আরো জানা গেছে, ১৫ বিঘা জমির ওপর এই প্রতিষ্ঠানটির পাশাপাশি তিনি আরো প্রতিষ্ঠা করেন তার পিতা মরহুম আলহাজ দবির উদ্দীন এতিমখানা, মায়ের নামে উত্তর চক আছিয়া মহিলা দাখিল মাদরাসা, উত্তর চক মাদরাসা জামে মসজিদ, কয়রা উত্তর চক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (র:) নামে হেফজখানা। এসব প্রতিষ্ঠানে এই পরিবারে দানকৃত সম্পত্তির পরিমাণ ৪০ বিঘা। ঐতিহ্যবাহী উক্ত বহুমুখী মাদরাসায় প্রায় হাজারের অধিক ছাত্র-ছাত্রীর নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে। বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের খুলনা জেলার সাবেক সভাপতি ও বর্তমান খুলনা জেলার সহ-সভাপতি কয়রা উত্তর চক আমিনিয়া বহুমুখী কামিল মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সপাল মাওলানা আলহাজ মোস্তফা আব্দুল মালেকের সাথে দৈনিক ইনকিলাবের কয়রা উপজেলা সংবাদদাতার আলাপকালে তিনি বলেন, আমার মৃত্যুর আগে সামান্য কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তার মধ্যে পল্লীমঙ্গল থেকে মাদরাসা পর্যন্ত ১ কি.মি. রাস্তা কার্পেটিং ও ডিজিটাল টেলিফোন লাইনটি সম্পন্ন করা। তিনি এখন শারীরিক সুস্থতা কামনা ও সার্বিক উন্নয়ন কর্মকা-ে অব্যাহত থেকে সামাজিক ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য কয়রা উপজেলার সর্বস্তরের মানুষসহ দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন