বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর আল্লামা ইসমাইল নুরপুরী বলেছেন, আলেম-ওলামাগণ দেশ, জাতি ও ইসলামের খেদমতে কাজ করেন। দেশের রাজনীতিতে তাদের যেমন অবদান রয়েছে, তেমনি ইসলামী শিক্ষার প্রসারে তাদের রয়েছে অপরিসীম ত্যাগ-তিতিক্ষা। উপমহাদেশের রাজনীতিতে আলেম-ওলামাদের হয়েছে বিশাল অবদান।
আলেম-ওলামাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই ভারতবর্ষ ইংরেজ শাসনমুক্ত হয়েছিল। তাদের ত্যাগ না থাকলে ভারতবর্ষ স্বাধীন হত না, পাকিস্তান হতো না এবং আজকের বাংলাদেশও হতো না। আলেম-ওলামাগণ মাদরাসা থেকে শিক্ষা গ্রহণ শেষে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মসজিদ মাদরাসাতে কাজ করেন। মানুষকে ইসলামের শিক্ষা দেয়। মানুষের মধ্যে ন্যায়-অন্যায়, পাপ-পূণ্য বোধকে জাগরিত করে। মাওলানা তৈয়বুর রহমান ফরিদপুরী ফরিদপুর থেকে বালুয়াকান্দি এসে দীর্ঘ ৬৫ বছর ইসলামের খেদমত করেছেন। অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীকে ইসলামের আলোকে আলোকিত করেছেন। অবশেষে দীর্ঘ ১০৬ বছর বয়সে এই মাটিতেই চিরতরে ঘুমিয়ে গেছেন। মাওলানা তৈয়বুর রহমান ফরিদপুরীর অবদান এই দেশের মানুষ বহুবছর স্মরণ রাখবে। তিনি গতকাল সকালে নরসিংদীর বালুয়াকান্দি মাদরাসা প্রাঙ্গণে মুহতামিম মরহুম মাওলানা তৈয়বুর রহমান ফরিদপুরীর স্মরণসভায় সভাপতির ভাষণে এসব কথা বলেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মাওলানা শওকত হোসেন সরকার, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মাওলানা জাকির হোসেন কাসেমী, মাওলানা আব্দুর রহিম কাসেমী, মুফতি আব্দুল্লাহ আল জিলানী, মাওলানা জিয়াউল হক কাসেমী, ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, ব্যবসায়ী খন্দকার হেলাল উদ্দিন এবং মরহুমের পত্র মাওলানা আজিজুর রহমান নাসিম। সভায় নরসিংদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষক ছাত্র এলাকাবাসীসহ হাজার হাজার লোকের সমাবেশ ঘটে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন