প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহরসহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীদের ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার দুপুর ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ চত্ত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান।
তাদের ৫ দফা দাবি হলো-
১/এই প্রজ্ঞাপন মানি না।এটি প্রত্যাখান করলাম।প্রশাসনকে সর্বোচ্চ ১২ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।
২/হল খোলা আছে খোলা থাকবে আমরা হল থেকে বের হবোনা।কোনভাবে হল থেকে বের করার চেষ্টা করা যাবে না।
৩/আগামী ২৪ ঘন্টার মাঝে গেরুয়ার সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে ও এর ইন্ধনদাতাদের খুজে বের করতে হবে।সর্বোচ্চ বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
৪/ক্যাম্পাসের কতিপয় ছাত্র শিক্ষক ও কর্মচারী ও কর্মকর্তা এই হামলার ঘটনার সাথে সংযুক্ত আছে বলে বিভিন্ন মাধ্যেম শোনা যাচ্ছে, দ্রুত তম সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে সত্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
৫/অজ্ঞাত মামলা তুলে নিয়ে চিহ্নিত ব্যক্তিদের নামে মামলা করতে হবে এক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট সহযোগিতা করবো।
এর আগে প্রশাসনের হলে না ঢুকার আহ্বানকে প্রত্যাখান করে আবারও তালা ভেঙে হলের ভিতর অবস্থান নিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্রীরা।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর একটায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে প্রবেশ করেন ছাত্রীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে মিছিল বের করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি মেয়েদের হলগুলো অতিক্রম করে বঙ্গমাতা হলের সামনে এসে শেষ হয়।
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়েছে। এরপর আমরা মিছিল নিয়ে ফজিলাতুন্নেছা হলে যাবো।
এই দুই হলেই ছাত্রীরা অবস্থান করবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেহেতু আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ সেকারণে আমরা আর হল ত্যাগ করছি না।
এরআগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হলের তালা ভেঙে ভেতরে অবস্থানরত ছাত্ররা আজ সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগ না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কিন্তু শিক্ষার্থীরা নির্দেশনা অমান্য করে হলেই অবস্থান করছেন। নিরাপত্তার কারণে তারা হলে অবস্থান নিয়েছেন এবং প্রশাসনের আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিতে তারা হল ছেড়ে যাবেন না বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সামিয়া হাসান বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা হল থেকে বের হব না। আমরা যে আল্টিমেটাম দিয়েছি, সেটাই এখনো চলমান আছে। স্থানীয় চিহ্নিত ব্যক্তিরা হামলা করলেও প্রশাসন কেন অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, সেটা আমরা জানতে চাই।’
এর আগে রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই হল ছাড়ার নির্দেশ দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শনিবার কিছু সংখ্যক ছাত্ররা সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বিভিন্ন হলের তালা ভেঙে জোরপূর্বক অবস্থান নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে সোমবার সকাল ১০টার মধ্যে নিজ উদ্যোগে হল ত্যাগের নির্দেশ দিচ্ছে। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন