ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে নির্মাণের দীর্ঘ ১৭ বছর পেরিয়ে গেলেও মানুষের কাজে আসছে না একটি সেতু। সংযোগ সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে সড়ক দিয়ে কোনো ধরণের যান চলাচল করতে পারে না। ফলে সেতুটি নির্মাণের সুফল ভোগ করতে না পারায় ভোগান্তিতে ৮ গ্রামের মানুষ।
উপজেলা মাইজবাগ ও মগটুলা ইউনিয়নের দুই প্রখ্যাত জলাশয় হচ্ছে কাতলা বিল ও শিঙ্গা বিল। শুকনো মৌসুমে বিল দু’টির মাঝখান দিয়ে পায়ে হেঁটে এবং বর্ষায় অন্তত ১০কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হয় সেতুর এপার ওপারের ৮ গ্রামের মানুষের। অথচ মাত্র তিন কিলোমিটার পারি দিলেই ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কে আসতে পারে ওই সব গ্রামের লোকজন। গ্রামগুলো হচ্ছে বানাশ্রম, ভাষা গোকলনগর, চরশংকর, কদুখালি, সাধরগোলা, রঘুদেবপুর, কর্মা, বল্লবপুর এলাকার মানুষ জনের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে ২০০৩ সালে দীর্ঘ তিন কিলোমিটার ব্যাপী একটি নতুন রাস্তা ও ওই রাস্তার ওপর আইএফএডির অর্থায়নে ছয় লাখ ৪২ হাজার ৪০০ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়।
সেতুটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। সেতু নির্মাণের সময় রাস্তায় নতুন মাটির সাথে সেতুটির ব্যলেন্স থাকলেও বর্ষায় তলিয়ে গিয়ে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এবং সেতুর সাথে রাস্তার সংযোগস্থল ধেবে যায়। এরপর থেকে দীর্ঘ ১৭ বছর পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় খানাখন্দে ভরা রাস্তা আর সেতুর সংযোগ স্থলের বেহাল দশায় কোনো যান চলাচল করতে পারছে না। ফলেসেতুটিও এলাকাবাসীর কোন কাজে আসছে না।
বানাশ্রম গ্রামের কৃষক নূরুল ইসলাম বলেন, দুই ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী স্থানে সেতুটি হওয়ায় দুই ইউনিয়নের কেউ রাস্তাটির বিষয়ে উদ্যোগ নেয় নি।
মগটুলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু ছালেহ মো. বদরুজ্জামান মামুন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দে সড়কটি সংস্কার সম্ভব নয়, তাই দুই বছর আগে সেতুটির সংযোগ সড়কটি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নিকট সংস্কারের আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য অদ্যাবদি সড়কের সংস্কার কাজের উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী তৌহিদ আহমেদ জানান, সেতু ও সড়কটির এমন অবস্থার কথা শুনেছেন এবং দ্রুত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন