শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সখিপুরে ইটভাটার পেটের ভিতর পলাশতলী কলেজ, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক

সখিপুর(টাঙ্গাইল)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২১, ১২:৩৫ পিএম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পাহাড়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং লোকালয় থেকে অন্তত এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা নির্মাণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও সখিপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের পলাশতলী কলেজ ইটভাটার পেটের ভিতর গড়ে উঠেছে। উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের পলাশতলী মহাবিদ্যালয়ের ভবন মেসার্স মিতালী ব্রিকস নামে ওই ইটভাটার পেটের ভিতর চলছে কার্যক্রম। কৃষিজমিতে গড়ে ওঠা ইটভাটা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও থেমে নেই ইট পোড়ানোর কাজ। এরই মধ্যে ভাটার কালো ধোঁয়া ও ছাই ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশে। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে এলাকাবাসী। তবে ইটভাটার মালিক পক্ষ দাবি করেছেন- তারা আইন মেনেই ভাটা স্থাপন করেছেন এবং কলেজ প্রতিষ্ঠার আগে ইটভাটা প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কলেজের দু’পাশেই কাঁচাপাকা ইটগুলো সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ভবনের দেয়ালে কালো ধোঁয়া ও ছাইয়ের আস্তরণও পড়ছে। এমন অবস্থা যে, কলেজ খোলা হলে শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারবে না। এতে ছাত্র সংখ্যা কমে গিয়ে কলেজটি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কলেজের অধ্যক্ষ আবু সাঈদ মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে থাকা ইটভাটাটি করোনা পরিস্থিতিতে আরো বেশি জায়গা ব্যবহার করছে। ওই ইটভাটার কারণে ছাত্র-শিক্ষক সবাই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে।

কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আশরাফ সিদ্দিকী জানান, কলেজের একেবারে সন্নিকটে ইটভাটা থাকায় শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনকে ইতিপূর্বে অবহিত করা হয়েছে। এখানে ইটভাটা থাকলে কলেজের কার্যক্রম ব্যাহত হবে।

এ বিষয়ে মেসার্স মিতালী ব্রিকসের মালিক লালন তালুকদার বলেন, উপজেলায় আরো অনেক ইটভাটা রয়েছে। তাদের মতো করে আমরাও চালাচ্ছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চিত্রা শিকারী বলেন, অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন