এলাকার সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাব। জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সাংবাদিকরাও দেশ ও জাতির স্বার্থে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। দেশপ্রেমিক সাংবাদিকদের অবদান আজ সর্বজন স্বীকৃত। শনিবার ৬ মার্চ দুপুরে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত সিটি কর্পোরেশনের শাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে ময়মনসিংহ বিভাগের সার্বিক উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভূমিকা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ইকরামুল হক টিটু প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন সাংবাদিকদের ইতিবাচক ভূমিকা উন্নয়নকে বেগবান করতে সাহায্য করে। মাত্র ৫ বছর আগে যাত্রা করা ময়মনসিংহ বিভাগ বাস্তবায়িত হয়েছে বলেই আজকে অবহেলিত এই অঞ্চলের চিত্র পাল্টে গেছে। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে উন্নয়ন সাংবাদিকতা অত্যন্ত জরুরি।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এফ.এম এ সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জয়যাত্রা টিভি ও জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআই পরিচালক হেলেনা জাহাঙ্গীর সিআইপি। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ড. মোঃ আক্কাছ উদ্দিন ভূঁঞা, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক কেন্দ্র (সিবিআইআর) পরিচালক, কলকাতা টিভি ও ইন্ডিয়া টুডে ব্যুরো এডিটর শাহিদুল হাসান খোকন ও ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর নেতাজি সুভাষ আইডিওলজি
(আইসিএনএসআই) প্রতিষ্ঠাকতা চেয়ারম্যান ও বহুমাত্রিক ডট কমের প্রধান সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম।
বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি যথাক্রমে প্রেসক্লাব ময়মনসিংহের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম খান, কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন আহম্মেদ, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পদাক এএইচএম মোতালেব, শরীফুল ইসলাম জোকন (জামালপুর) প্রমূখ।
মেয়র টিটু আরো বলেন, এই বিভাগের সংকট ও সম্ভাবনার জায়গাগুলো চিহ্নিত করে প্রতিদবেদন প্রকাশের মাদ্যমে গণমাধ্যমকর্মীদের বেশি করে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। বিভাগ বাস্বায়িত হলেও এই বিভাগে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, একটি সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা-ময়মনসিংহে দ্রুতগতির ট্রেন চালু করাসহ অনেকগুলো পদক্ষেপ নেওয়া জর“রি। ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে কাছের ভারতীয় সীমান্তবর্তী বিভাগ ময়মনসিংহ। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা ক্ষেত্রে এই সীমান্তকে কাজে লাগাতে হবে। বিশেষ করে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা গোবড়াকুড়া-কড়ইতলী ও নাকুগাঁও বন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দও হিসেবে রূপান্তরে উভয় দেশের কর্তৃপক্ষের আন্তরিক উদ্যোগ আমরা প্রত্যাশা করি। আলোচনা অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ, নেত্রোকোনা, শেরপুর ও জামালপুরের জেলা এবং উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মী, রাজনীতিক, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিককর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন