বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

মানচিত্র থেকে নদী উধাও

ভারতের কাছে মহানন্দার পানি পেতে সোচ্চার বাংলাদেশ হুমকির মুখে উত্তরাঞ্চলের পরিবেশ-জীববৈচিত্র্য

স্টালিন সরকার (উত্তরাঞ্চল থেকে ফিরে) | প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০২১, ১২:০৫ এএম

হঠাৎ ধপাস করে মাটিতে পড়ে গেলাম। ক্লান্ত-শ্রান্ত শরীর চলছে না। সঙ্গী দূরে দাঁড়িয়ে নদীর ছবি তুলছেন। যমুনা নদী তো নয় যেন ‘সরু নালা’। দূরে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু। যেদিকে চোখ যায় ধুধু বালু আর বালু। পায়ে হাঁটা পথে মাঝেমধ্যে চোখে পড়ে ধান-গম-কাউন-বাদাম-কলাইয়ের শস্যক্ষেত। আমরা দু’জন সংবাদকর্মী হেঁটে চলছি যমুনা নদীর মূল শ্রোত দেখতে। বঙ্গবন্ধু সেতুর নীচে এ দৃশ্য দেখে এগিয়ে এলেন এক রাখাল বালক। তিনি হাতের ইশারায় দূরে দেখিয়ে বললেন, ‘ওইখানে বর্তমানে মূল নদী। দুই মাইল হাঁটতে হবে। আগে এখানেও নদী ছিল’। যেন কন্ঠশিল্পী পথিক নবীর গান ‘এইখানে এক নদী ছিল জানলো না তো কেউ’ এর মতো। দু’মাস আগে যেখানে ১০ ফুট থেকে ১২ ফুট পানি ছিল; সেখানে এখন ধু ধু বালুচর! পদ্মা, যমুনা, তিস্তাসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে চার শতাধিক নদী। এর মধ্যে পানির অভাবে করুণ দশা শতকরা ৯০ ভাগ নদীর। চৈত্র্য মাসে কোনো কোনো নদী শুকিয়ে যাওয়ায় নানান ফসল ফলানো হচ্ছে। ফসলের মাঠ দেখে বোঝার উপায় নেই, এখানে নদী ছিল। পানির অভাবে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে নদী।

দেশের উত্তর জনপদ তথা রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে আবহমানকাল থেকে মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে শত শত নদ-নদী। কিন্তু ভারতের নদীশাসন, পদ্মার উজানে ফারাক্কা ও তিস্তার উজানে গজলডোবায় বাঁধ নির্মাণ, আবহাওয়া পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে নদীগুলো। করতোয়া, ধরলা, দুধকুমার, বুড়ি তিস্তা, ঘাঘট, মাথাভাঙা, পুনর্ভবা, বারনই, রাণী, কম্পো নদী শুকিয়ে মানচিত্র থেকে উধাও হয়ে গেছে। পানির অভাবে নদী হারিয়ে যাওয়ায় আবহাওয়া-পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। নদী পাড়ের লাখো মানুষ বাপ-দাদার মাছ ধরা পেশা বদল করতে বাধ্য হয়েছেন।

তবে আশার কথা, ভারতের মোদি সরকার ‘তিস্তা চুক্তি’ ঝুলিয়ে রাখলেও গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি মহানন্দার পানি ভাগাভাগির ওপর জোর দিয়েছেন। চুক্তি করে বাংলাদেশের ফেনি নদীর পানি ভারত সরকার ত্রিপুরা রাজ্যে তুলে নেয়ার বদৌলতে মনু, মুহুরী, খোয়াই, গুঁটি, ধরলা ও দুধকুমার ৬টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা করতে রাজি হয়। সে আলোচনায় বাংলাদেশের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার মহানন্দার পানির হিস্যার বিষয় উত্থাপন করেন। কিন্তু দুঃখজনক হলো, ভারতের অনেক বুদ্ধিজীবী তিস্তা চুক্তিসহ অভিন্ন নদীর পানি বাংলাদেশকে দেয়া উচিত বললেও ঢাকার কিছু বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিক বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে অংশ নিতে মোদির ঢাকা সফরের সময় অভিন্ন নদীর পানি চাওয়ার দাবি তোলা উচিত নয় বলে মন্তব্য করছেন।

গত এক সাপ্তাহে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের প্রায় ১০ থেকে ১২টি নদী ঘুরেছি। সরেজমিন নদীর অবস্থা, পানির গভীরতা, চর, বালু উত্তোলন ব্যবসা পর্যবেক্ষণ করেছি। পদ্মা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, করতোয়া, মহানন্দা, ধরলা, দুধকুমার, বুড়ি তিস্তা নদী পাড়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের একটাই দাবি নদীতে পানি চাই। নদীর চরে বর্তমানে যে ফসল হচ্ছে সেটা তারা চান না। মহানন্দা পাড়ের খালঘাট এলাকায় নুরুদ্দিনের ছেলে নাসির উদ্দিন বললেন, ‘নদীতে আমরা ফসল চাই না। যদি পানি থাকে তাহলে আমাদের চতুর্দিকে লাভ। নদীতে আমরা পানি চাই’।

বৃহত্তর রংপুর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যুমনা, ধরলা, ঘাঘট, মহানন্দা, দুধকুমার এবং রাজশাহী বিভাগের পদ্মা ছাড়াও মাথাভাঙা, পুনর্ভবা, বারনই, রাণী, কম্পো, করতোয়া, মহানন্দা, গড়াই, আড়িয়াল খাঁ, কুমার, ভৈরব ইত্যাদি নদী হারিয়ে যেতে বসেছে পানির অভাবে। চৈত্র্য মাসের প্রথম সাপ্তাহেই কোথাও কোথাও শুকিয়ে ২০ থেকে ৩০ ফুট প্রশস্ত খালের মতো প্রবাহিত হচ্ছে। কোনো নদী যৌবন হারিয়ে ক্ষীণ ধারায় বর্তমান প্রবাহিত। কোথাও রীতিমত ধানের জমিতে পরিণত হয়ে গেছে মাঝনদী। ফলে উত্তরাঞ্চলে কৃষি, জনস্বাস্থ্য, প্রাণী, উদ্ভিদ ও জীব বৈচিত্র্য পড়েছে হুমকির মুখে। বন্ধুপ্রতীম ভারতের আগ্রাসী পানি নীতির ফাঁদে পড়ে নদীমাতৃক বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল পাকিস্তানের কথাশিল্পী সা’দত হাসান মিন্টোর ‘যে নদী মরু পথে’ উপন্যাসের গল্পের মতো মরুভ‚মিতে পরিণত হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদি ২৬ মার্চ ঢাকা সফরে আসছেন। বাংলাদেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার নদী সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দু’দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠক করে দিল্লি থেকে ঢাকা ফিরেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের কাছে ‘পানির সুখবর’ নেই। যদিও গতকাল ঢাকায় কর্মরত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করে দাবি করেছেন সীমান্ত সমস্যার সমাধান এবং তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের অগ্রগতি হচ্ছে। সে সূত্র ধরেই ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনে ইতোমধ্যে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে’। অথচ এর আগে জানিয়ে দেয়া হয়েছে মোদির ঢাকা সফরে তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনার সুযোগ থাকছে না। পশ্চিম বঙ্গের নির্বাচনের পর তিস্তা চুক্তি হবে এমন মুলা ঝুলানো হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এবং বাংলাদেশ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে আজ ১৯ মার্চ থেকে ২১ মার্চ ঢাকা থেকে তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে রোডমার্চ কর্মসূচি দিয়েছে।

গত ১৪ মার্চ চাপাই নবাবগঞ্জের ৯৫ কিলোমিটার মহানন্দা নদীর কমপক্ষে ১০টি পয়েন্টে ঘুরেছি। স্বচ্ছপানির নদীর দু’ধারের বেশির ভাগ এলাকা শুকিয়ে গেছে। এখন দখল করে সেগুলোকে পরিণত করা হয়েছে ধানের জমি। কোনো কোনো পয়েন্টে নদী মরা খালে পরিণত হয়েছে। পানির অভানে নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় নৌ-চলাচল সীমিত হয়ে গেছে। ব্যবসা বাণিজ্যে ভাটা পড়ায় অর্থনীতি পঙ্গু হওয়ার উপক্রম হয়েছে। নদীর বেশির ভাগ এলাকায় পানির স্রোত নেই। জেলার ৯৫ কিমি নদীর প্রায় সব পয়েন্টে নাব্যতা সঙ্কট।

মহানন্দার বাংলাদেশের প্রথম প্রবেশের সেই পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া পয়েন্টের অবস্থা আরো ভয়াবহ। দুপুরের কড়া রোদে নদী পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখা গেল স্থানীয় শ্রমিকরা ৪ থেকে ৬ ফিট পানিতে নুড়ি পাথর সংগ্রহ করছেন। মো. ওয়াহিদ নামের একজন শ্রমিক জানালেন, মাঝেমধ্যে উজান থেকে পানি ছেড়ে দেয়া হলে কিছু পাথর পানিতে ভেসে আসে, সেগুলো ধরা হয়। চৈত্র্য মাসের শুরুতেই নদীর বেশির ভাগ এলাকা শুকিয়ে গেছে।

রংপুর জেলার কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা রেলওয়ে সেতুর নীচে দাঁড়িয়ে দেখা গেল পায়ে হেটেই তিস্তা পাড়ি দিচ্ছেন স্থানীয় নারী-শিশুরা। তিস্তা ব্রীজের লালমনিহাট পয়েন্টে দাঁড়িয়ে আবতাব রহমানের পুত্র চা দোকানদার মো. আজিজুল হক বললেন, তিস্তার পানি হামাদের জীবন-মরণ। তিস্তা নদীত পানি নেই। ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার প্রস্তের নদীর মধ্যে মাত্র ৩০ থেকে ৫০ ফুট এলাকায় সরু নালার মতো পানির প্রবাহ। পানি না থাকায় হাজার হাজার জেলে পরিবার পেশা বদল করতে বাধ্য হয়েছেন’।

তিস্তা নদীর গঙ্গাচড়া ও হারাগাছ পয়েন্টের স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গন ঠেকানো না গেলেও শুকনো মৌসুমে তিস্তায় থাকে হাঁটুপানি। ডালিয়া থেকে কাউনিয়া পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জেগে উঠেছে বিশাল চর। শুকিয়ে যাওয়ায় চাষাবাদের কারণে করতোয়া নদী হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের প্রমত্তা করতোয়া এখন কার্যত খাল। তেমনি গাইবান্ধার ঘাঘট, কুড়িগ্রামের ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদ শুকনো মৌসুমে হেঁটে পার হওয়া যায়। এখন নদীর শোঁ শোঁ ডাক শোনা দূরের কথা, দুই চোখ যেদিকে যায় শুধু বালু আর বালু। অথচ উত্তরাঞ্চলের মানুষ একসময় জীবন-জীবিকা নির্ভর করতেন এই নদীর ওপর। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চৈত্র মাস আসতে না আসতেই তিস্তা অববাহিকা রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় ৮০টির বেশি নদ-নদীর প্রবাহ থেমে গেছে। দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার ৪০টির বেশি নদ-নদীর প্রবাহ নেই। অর্ধশতাব্দী আগে এসব নদ-নদীতে ছিল পানির প্রবাহ ও প্রাণের স্পন্দন। বর্তমানে অনেক স্থানে এসব নদ-নদীর কোনো অস্তিত্বই দেখা যায় না। এ ছাড়া পদ্মা অববাহিকায়ও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছোট ছোট প্রায় ১৪০টি নদ-নদী কালের অতলে হারিয়ে গেছে।

নদী নিয়ে কাজ করছেন এমন স্থানীয় পরিবেশবিদ ও বিশেষজ্ঞরা জানান, উত্তরাঞ্চলে পানির প্রবাহ থমকে যাওয়া ৩ শতাধিক নদ-নদীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ধরলা, জলঢাকা, দুধকুমার, তিস্তা, সতী, ঘাঘট, নীলকুমার, বাঙালি, বড়াই, মানাস, কুমলাই, লাতারা, ধুম, বুড়িঘোড়া, সোনাভরা, হলহলিয়া, লোহিত্য, ঘরঘরিয়া, ধরনি, নলেয়া, জিঞ্জিরাম, ফুলকুমার, কাটাখালী, সালমারা, রায়ঢাক, খারুভাঁজ, যমুনেশ্বরী, চিকলী, মরা করতোয়া, ইছামতী, আলাইকুমারী, মরা তিস্তা।

রাজশাহী শহর পয়েন্টের এক সময়ের প্রমত্তা পদ্মা শুকিয়ে মরা নদীতে পরিনত হয়েছে। নদীর বুকে জেগে ঊঠেছে বড় বড় চর। সেই সাথে পদ্মা সংযুক্ত প্রধান প্রধান শাখা প্রশাখাসহ অন্তত ৮৫টি নদী চৈত্র মাস আসার আগেই প্রায় পানি শুন্য হয়ে পড়েছে। এতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলের শিল্প, ব্যবসা-বানিজ্য, জীববৈচিত্রের ও কৃষি খাত হুমকীর মুখে পড়েছে। পদ্মার কয়েকটি পয়েন্টে ঘুরে দেখা গেল, নদী শুকিয়ে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পদ্মার প্রধান শাখা নদী বড়াল, আত্রাই ও গড়াই নদী প্রায় পানি শুন্য হয়ে পড়েছে। কুষ্টিয়ার কয়ায় গড়াই নদীর উপর নির্মিত গড়াই রেল ও রুমী ব্রিজের নিচে ধুধু বালুচর। একই চিত্র দেখা গেল পাবনার হার্ডিজ ব্রীজের দুই পাশে। জিকে প্রজেক্ট কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে পানির অভাবে। পদ্মা, মধুমতি, নবগঙ্গা, কাজলা, মাথাবাঙ্গা, গড়াই, আত্রাই, চিকনাই, হিনসা, কুমার, সাগরখালি, কপোতাক্ষ, চন্দনাসহ পদ্মার ৮৫টি শাখা-প্রশাখা নদীর বুকে জেগে উঠেছে ছোট-বড় হাজারো চর। কোন কোন স্থানে বালু স্থায়ী মৃত্তিকায় রুপ নেয়ায় ধান-ভুট্টা-গম-কলাই-বাদামের চাষাবাদ করেছেন অনেকেই। বর্তমানে পদ্মা নদী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ ব্রীজের নিচে খাস জমিতে চোখে পড়লো কৃষকের চিনা বাদাম, বাঙ্গী, তরমুজ, টমেটো, আখসহ নানা রকম রবি শস্যের আবাদ। স্থানীয় কৃষকরা জানান, পানি না থাকায় তারা এসব ফসল ফলাচ্ছেন। তবে পানি আমাদের চাই। ফারাক্কা আমাদের কোমর ভেঙ্গে দিয়েছে।

এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন ঢাকা সফর উপলক্ষ্যে তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদীর পানি বন্ঠন চুক্তির দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন আন্দোলন করছে। গত বুধবার দুই দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে। ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার আবারও তিস্তার অন্তর্বতী পানি বন্টন চুক্তি স্বাক্ষরের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন। তিনি মনু, মুহুরী, খোওয়াই, গুঁটি, ধরলা ও দুধকুমার এই ৬টি আন্তঃসীমান্ত নদী পানির ভাগাভাগির বিষয়ে একটি কাঠামো চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য তথ্য সংগ্রহের প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করেন। তবে কবির বিন আনোয়ার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরকালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে উপস্থিত থাকবেন বলে তিস্তা ও অন্য ৬টি নদীর পানি ভাগাভাগির বিষয়ে আলোচনা হবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (16)
Sheikh Shohel ১৯ মার্চ, ২০২১, ১:১১ এএম says : 0
তিস্তা,পদ্না, যমুনা, কপোতাক্ষ কি অবস্থা
Total Reply(0)
Hashanur Rahman Hasan ১৯ মার্চ, ২০২১, ১:১২ এএম says : 0
খুব ভালৈা নিউজ। ধন্যবাদ।
Total Reply(0)
Hero Harun ১৯ মার্চ, ২০২১, ১:১২ এএম says : 0
ঘটনা পুরো সত্য আমার নিজের চোখে পরা এ দৃশ্য
Total Reply(0)
Md Hafizur ১৯ মার্চ, ২০২১, ১:১২ এএম says : 0
ধন্যবাদ সংবাদ প্রকাশ করার জন্য। সেই সাথে দখলদার এর হাত থেকে নদী উদ্ধার করার দাবি জানাই।
Total Reply(0)
Sofik Shak ১৯ মার্চ, ২০২১, ১:১৩ এএম says : 0
ধন্যবাদ আপনাকে সংবাদ প্রকাশের জন্য
Total Reply(0)
মোঃ মহিদুল ইসলাম ১৯ মার্চ, ২০২১, ১:১৩ এএম says : 1
যারা যারা নদী বন্ধ করে মাছ চাষ করতেছে। তাদের কে চাপ দিয়ে তাদের কাছ থেকেই নদী ঠিক করে নেন।।
Total Reply(0)
Md Syed Alam ১৯ মার্চ, ২০২১, ১:১৫ এএম says : 0
গুগলের ম্যাপে দেখা যায় যে গজলডোবা ব্যারাজের ভাটিতে নয়, কিছুটা উজানে এবং দক্ষিণে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি লিংক ক্যানেলের মাধ্যমে পানি অপর একটি আন্তর্জাতিক নদী মহানন্দায় নির্মিত ব্যারাজে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। ভারতের ওই মহানন্দা ব্যারাজের যে সেচ এলাকা, তাকেই ভারত তাদের তিস্তার সেচ প্রকল্প বলে চালিয়ে দিচ্ছে, এটা আন্তর্জাতিক আইনের সম্পূর্ণ বরখেলাপ।
Total Reply(0)
রাকিবউদ্দিন ১৯ মার্চ, ২০২১, ১:১৬ এএম says : 0
ভারতের কাছ থেকে মহানন্দার পানি নিতেই হবে।
Total Reply(0)
রমজান আলি ১৯ মার্চ, ২০২১, ১:১৭ এএম says : 0
সরকার ভারতের গোলামি করে তিস্তার পানি তো পেল না। কখনও পাবে কিনা তাও অনিশ্চিত। তাই অন্তত মহানন্দার পানি আদায় করে দেখাক।
Total Reply(0)
রাজিব ১৯ মার্চ, ২০২১, ১:১৮ এএম says : 0
নদীগুলো বাঁচানো জরুরি।
Total Reply(0)
Mojibur Rahman ১৯ মার্চ, ২০২১, ৬:৩৭ এএম says : 0
Invite modi-hasina to see the rivers condition
Total Reply(0)
Shariar ১৯ মার্চ, ২০২১, ১০:১৭ এএম says : 0
Very sad news.
Total Reply(0)
Abu Taher Ansary ১৯ মার্চ, ২০২১, ১১:০৬ এএম says : 0
নিউজটি যুগোপযুগি হয়েছে ধন্যবাদ
Total Reply(0)
Abu Taher Ansary ১৯ মার্চ, ২০২১, ১১:০৬ এএম says : 0
নিউজটি যুগোপযুগি হয়েছে ধন্যবাদ
Total Reply(0)
Faruk Hossen ১৯ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ পিএম says : 0
এটা খুবই দুঃখজনক
Total Reply(0)
Jack+Ali ১৯ মার্চ, ২০২১, ৪:৫৮ পিএম says : 0
Enemy of Allah's rule destroyed our country.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন