বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

তারাকান্দা যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ,পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা

ময়মনসিংহ ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০২১, ৭:১১ পিএম

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা যুবলীগ নেতা ফরিদ আহম্মেদ জয়ের (২৮) বিরুদ্ধে এক নারীর অশ্লীল ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার এ ঘটনায় ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।

খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাজাহান কবীর সাজু। তিনি জানান, ভিকটিম বাদী হয়ে ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ওসি তারাকান্দাকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে এফআরআই করার নির্দেশ দিয়েছেন, বলেও জানান আইনজীবী।
উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আ: মান্নান জানান, ফরিদ আহম্মেদ জয় উপজেলা যুবলীগের সদস্য। তবে তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের কোন ঘটনা জানা নেই। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। যুবলীগে কোন অপরাধীর স্থান হবে না।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, ত্রিশাল উপজেলার বিয়ারা আওলীয়ানগর এলাকার এক নারীর সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় যুবলীগ নেতা ফরিদের। পরিচয়ের সূত্রে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারী এক মুন্সির মাধ্যমে বিয়ে করে ৮ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজার নিয়ে গিয়ে তিন দিন হোটেলে রাত্রী যাপন করে গোপনে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভিডিও ধারন করে।

ভিকটিম আরো জানায়, ওই অশ্লীল ভিডিও আমার মোবাইলে পাঠিয়ে টাকা দাবি করে ইন্টানেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে ভিডিও ডিলিট করে দেবার শর্তে তাকে ৫০ হাজার টাকা দেই। কিন্তু সে ভিডিও ডিলিট না করে হুমকি দিতে থাকলে আমি র‌্যাব অফিসে অভিযোগ করি। বিষয়টি জানতে পেরে সে ভুল স্বীকার করে গত ৪ মার্চ ময়মনসিংহ শহরে আসলে বিয়া করার আশ্বাসে নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে আমাকে তারাকান্দা উপজেলার কাশিগঞ্জ বাজারে এক বাসায় নিয়ে যায়। সে আমাকে দুই দিন আটকে রেখে ৩ বন্ধু মিলে গণধর্ষন করে মোবাইলে ভিডিও ধারন করে। এ ঘটনায় গত ১৫ মার্চ তারাকান্দা থানায় অভিযোগ করতে গেলে ওসি আমাকে আটকে রেখে সাদা কাগজে আমার মা’র স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেয়।

তবে এসব বিষয়ে জানতে যুবলীগ নেতা ফরিদ আহম্মেদ জয়ের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য জানা যায়নি।

এবিষয়ে তারাকান্দা থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়। তবে ফরিদের বিরুদ্ধে আটকে রেখে ধর্ষনের অভিযোগ নিয়ে ওই নারী থানায় এসেছিল। পরে জানতে পারি ফরিদ তাকে বিয়ে করেছে। এখন আদালতের কাগজ হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন