বগুড়া শহর যুবলীগের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাদিম প্রমানিক (৩৪) হত্যা মামলায় জামিন পেয়েই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে প্রতিপক্ষ দুইজনকে আহত করেছে । আহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর শুক্রবার রাতে নাদিমকে তার নিজবাড়ি শাজাহানপুর উপজেলার ফুলতলা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বগুড়া শহরের ফুলতলা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের ধারাবাহিক হত্যাযজ্ঞের অন্যতম হোতা এই নাদিম।
হত্যা, চাঁদাবাজি ও মারধরসহ ৯টি মামলা রয়েছে নাদিমের বিরুদ্ধে। বগুড়ার শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শুক্রবার রাতে পলাতক থাকা অবস্থায় ফুলতলা এলাকার নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হয় নাদিম। তার গ্রুপের অন্য দুই সদস্য আবু হানিফ আকন্দ ও মিন্টু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয় বৃহস্পতিবার রাতে। নাদিমের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ মোট ৯টি মামলা রয়েছে। পুলিশ জানায়, দক্ষিণ বগুড়ার ফুলতলা এলাকার এক সময়ের শীর্ষ দুই সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা মজনু প্রামানিক ও আমিনুল ইসলাম। দুজনই খুন হওয়ার পর শাহীন গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছে তার ছেলে তৌহিদুর রহমান লিখন ও মজনু প্রামানিকের গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার ভাগিনা যুবলীগ নেতা নাদিম।
সম্প্রতি আধিপত্য বিস্তার ও পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লিখন গ্রুপের সদস্য ফোরকান নামে এক সন্ত্রাসীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। ওই মামলায় নাদিম প্রামানিককে প্রধান করে ১৩ জনকে আসামি করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই নাদিম ছিল পলাতক। এদিকে এই হত্যা মামলার আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়েছে বলে দাবি করে দলবলসহ এলাকায় ফিরে নাদিম। তারা বৃহস্পতিবার রাতে ফুলতলা সরকারি স্কুলের সামনে প্রতিপক্ষ লিখন গ্রুপের সদস্যদের উপর সশস্ত্র হামলা করে। এই হামলার নেতৃত্ব দেয় নাদিম। সংঘর্ষে লিখন গ্রুপের তিনজন এবং নাদিম গ্রুপের একজন আহত হয়। শুক্রবার বিকেলে হামলার ঘটনায় লিখন গ্রুপের পক্ষে ফয়সাল কবির নামে একজন বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা নাদিমকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করে। এরপরই রাতে তাকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন