বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হওয়ায় গতকাল শনিবার বগুড়া ও জাহাঙ্গীরাবাদ সেনানিবাসে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।
এছাড়া বিগত এক দশকের অধিক সময়ে দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের উপরে আলোকপাত করা হয়েছে। সকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জাঁকজমকপূর্ণ র্যালির উদ্বোধন করেন জিওসি, ১১ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, বগুড়া এরিয়া, মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান, এনডিসি, পিএসসি।
এর আগে তিনি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। বগুড়া ও জাহাঙ্গীরাবাদ সেনানিবাসের দেড় সশ্রাধিক সামরিক/বেসামরিক কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অন্যান্য পদবির সেনা সদস্যরা র্যালিতে অংশ নেন। প্রধান অতিথির নেতৃত্বে র্যালিটি সেনানিবাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
ইতোপুর্বে গত ২৬ মার্চ শুক্রবার যথাযোগ্য মর্যাদা, উৎসহ ও উদ্দীপনার সাথে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়।
বাদ জুম্মা বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন, সেনা পরিচালিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রচনা, চিত্রাঙ্কন ও অনলাইন ভিত্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মুক্তিযুদ্ধের ওপর আলোচনা করা হয়। দিনটির তাৎপর্য স্মরণ করে সেনানিবাসে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক যাদুঘর ‘বিজয়াঙ্গন’ দর্শনার্থীদের জন্য খোলা রাখা হয়।
এছাড়া রাতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে সেনা সদস্য ও জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীরা সঙ্গীত, নৃত্য, কৌতুকসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান, এনডিসি, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে তার ভ‚মিকা সম্পর্কে সকলকে অবহিত করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন