শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনা যুক্তরাষ্ট্রের

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০২১, ১:৫১ পিএম

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন, বেআইনি অথবা খেয়াল খুশিমতো হত্যাকান্ড, জোরপূর্বক গুম, মিডিয়ায় সেন্সরশিপ, সাইট ব্লক করে দেয়াসহ মানবাধিকারের বিভিন্ন ইস্যুতে কড়া সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২০২০ সালের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত মানবাধিকার বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন সমালোচনার তীর ছোঁড়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সরকার অথবা তার এজেন্টরা বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড চালায়, জোরপূর্বক গুম করে বাংলাদেশে। নির্যাতন চালানো হয় এবং নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়। অমানবিক অথবা অপমানজনক আচরণ করে অথবা শাস্তি দেয় সরকার বা তার এজেন্টরা। ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, জেলখানার পরিবেশ আরো খারাপ, জেলের ভিতরে জীবন হারানোর হুমকি রয়েছে। খেয়ালখুশিমতো অথবা বেআইনিভাবে আটকে রাখার ঘটনা অব্যাহত আছে। ব্যক্তিগত বিষয়ে খেয়ালখুশিমতো অথবা বেআইনিভাবে হস্তক্ষেপ করা হয়।

সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের প্রতি সহিংসতা, সহিংসতার হুমকি আছে ও খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তার করা হয়। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং মুক্তভাবে মত প্রকাশের অধিকারে উল্লেখযোগ্যভাবে হস্তক্ষেপ করা হয়। বেসরকারি সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিধিনিষেধমূলক আইন রয়েছে। তাদের কর্মকান্ডের ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে। মুক্তভাবে চলাচলের ওপরও বিধিনিষেধ রয়েছে। বিধিনিষেধ রয়েছে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের ওপর। ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, দুর্নীতি অব্যাহত আছে। নারী ও কন্যা শিশুদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল সহিংসতা অব্যাহত আছে। তদন্ত ও জবাবদিহিতায় ঘাটতি রয়েছে। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হুমকি ও সহিংসতা হয়। নিরপেক্ষ ট্রেড ইউনিয়ন এবং শ্রমিক অধিকারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বিধিনিষেধ আছে। আরো আছে শিশু শ্রমের খুব খারাপ অবস্থা।

রিপোর্ট আরো বলা হয়, সংবিধান অনুসারে বাংলাদেশে রয়েছে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা। এর অধীনে সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা থাকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে। ২০১৮ সালে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে, তাতে শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বার ৫ বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ ধরে রেখেছেন। কিন্তু ওই নির্বাচনকে পর্যবেক্ষকরা অবাধ ও সুষ্ঠু বলে মনে করেন না। অনিয়ম, যেমন ব্যালট বাক্স ভরাট করা এবং বিরোধী দলীয় পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে।

রিপোর্টে আরো বলা হয়, নিরাপত্তা রক্ষায় সমন্বিতভাবে কাজ করে পুলিশ, বর্ডার গার্ডস, সন্ত্রাস বিরোধী ইউনিট, যেমন র‌্যাব। বেসামরিক কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের ওপর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের বিরুদ্ধে বহু নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
এ, কে, এম জামসেদ ৩১ মার্চ, ২০২১, ৩:১৩ পিএম says : 0
রিপোর্টে যা বলা হয়েছে বাস্তব তার চেয়ে অন্য রকম। ১২৮৫ কেন্দ্রে কোন ভোটই পায়নি বিএনপি। ছয় কোটি ১৫লাখ ২৪হাজার ২১৩ভোট পেয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অন্য দিকে বিএনপি পেয়েছে ৯৯ লাখ ৮৫ হাজার ২০২ভোট।
Total Reply(0)
Alamin ৩১ মার্চ, ২০২১, ৩:৩৩ পিএম says : 0
এখানে যে অভিযোক গুলি উল্লেখ করা হয়েছে এর সব গুলিই সত্যি,,আমরা তো চাই বিশ্বের সব বড় দেশ গুলির জানা উচিত যে আমরা খুব বীপদে আছি।
Total Reply(0)
মোঃ তৌহিদুল ইসলাম ৩১ মার্চ, ২০২১, ৩:৪৬ পিএম says : 0
সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করলে সব গুলো কথাই সত্য
Total Reply(0)
Jack Ali ৩১ মার্চ, ২০২১, ৪:৩১ পিএম says : 0
O'Allah rescue us from oppressive Taghut ruler and appoint a muslim Leader who will rule our country by Qur'an, only then we will be able to live in our country in peace without fear of abduction, mass killing, false case lodging, looting our hard earned tax payers money and sending to foreign countries, save from Chadabaj and many more they are committing in our beloved mother land.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন