গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে ঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বেপরোয়া চলাচল ঠেকাতে উপজেলা প্রশাসন নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে আরম্ভ করে গভীর রাত পর্যন্ত তারা ছুটে চলেছেন এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতিদিন পৃথক ভাবে ছুটে চলেছেন বিভিন্ন হাট-বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসহ জনসমাগম হতে পারে এমন স্থানে। ইতোমধ্যেই এ উপজেলার সাথে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার যোগাযোগ সড়কে বসানো হয়েছে পুলিশ চেক পোষ্ট।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার মীরগঞ্জ, জামালহাট ইছলার ব্রিজ, হাতিয়া চৌরাস্তা, ধর্মপুর বাজার, ও পৌর শহরের পূর্ব বাইপাস মোড়ে পুলিশ চেক পোষ্ট বসানো হয়েছে। যথাযথ কারণ ছাড়া বাড়ির বাহিরে গমন ঠেকানো হচ্ছে। পাশাপাশি জনগণকে সচেতনতামূলক পরামর্শ দিয়ে নিজে সুস্থ্য ও অপরকেও সুস্থ্য রাখার আহবান জানানো হচ্ছে। ইতোমধ্যেই উপজেলা প্রশাসন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা ও অযথা গণজমায়েত নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে।
এব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান জানান, জাতির সকল ক্লান্তিলগ্নে পুলিশ সম্মুখ ভাগে থেকে লড়াই করেছে। এবারও জীবন বাজী রেখে পুলিশ কাজ করছে। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য পুলিশ সব সময় কাজ করবে ইনশাআল্লাহ।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ আল হাসান বলেন, নিজেদের ও পরিবারের সুরক্ষার কথা ভেবে সরকারি লকডাউন নিয়ম মেনে সব সময় মাস্ক ব্যবহার করার ও বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত ঘরের বাইরে বের না হবার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। লকডাউন বাস্তবায়নে নিয়ম অমান্যকারিদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অর্থদন্ড প্রদান করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারি আদেশ, নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ-আল-মারুফ বলেন, আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টির কোন বিকল্প নেই। তাই প্রতিদিন বিভিন্ন হাট-বাজার মনিটরিংসহ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউনে মানুষ সরকারী আদেশ ও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে এবং মাস্ক না পড়লে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে লকডাউন বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন