শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

রহমত, ক্ষমা ও মুক্তি লাভের তত্ত¡কথা

এ.কে.এম. ফজলুর রহমান মুনশী | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০০ এএম

পিয়ারা নবী মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.) এক অভিভাষণে বলেছেন : ‘রমজান এমন এক মাস যে, এর প্রথম দশ দিন রহমতের বারিধারায় পরিপূর্ণ। দ্বিতীয় দশ দিন ক্ষমা ও মার্জনার জন্য নির্ধারিত। তৃতীয় দশ দিন জাহান্নাম হতে মুক্তি ও নিষ্কৃতি লাভের উপায় রূপে নির্দিষ্ট।’

এই বাণী দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, রজমান মাসের প্রাথমিক অংশ রহমতে পরিপূর্ণ। মধ্যম অংশ মাগফিরাত লাভের জন্য নির্ধারিত এবং তৃতীয় অংশটি জাহান্নাম হতে নিষ্কৃতি লাভের জন্য নির্দিষ্ট সময়। আর এ বিষয়টিও অত্যন্ত সুস্পষ্ট যে, এই তিনটি অংশের প্রত্যেকটিই এর পরবর্তী অংশ পূর্ববর্তী অংশ হতে অধিক ফলদায়ক ও কল্যাণকর। এই কল্যাণকামী লোক তিন শ্রেণির হতে পারে। প্রথমত : যারা স্বভাবতই তাকওয়া ও পরহেজগারি সম্পন্ন ও গোনাহ খাতা হতে বিমুক্ত থাকার জন্য যত্মবান, তারা কোনো ভুলত্রæটি করার চেতনা হওয়া মাত্র তাওবাহ ইস্তিগেফার করে নিজেদের সংশোধন ও ত্রুটিমুক্ত করে নেয়। এদের ওপর রমজান মাস শুরু হতেই রহমতের বারিবর্ষণ শুরু হয়ে যায়। দ্বিতীয়ত : সে সব লোক, যারা প্রথম শ্রেণির মতো উচ্চমানের তাকওয়া ও পরহেজগারির অধিকারী না হলেও রোজা, তাওবাহ, ইস্তিগেফার, নেক আমল ও কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে নিজেদের আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত লাভের যোগ্য করে তোলে। তখন এই মাসের মধ্যম অংশে তাদের ক্ষমা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত আল্লাহপাক গ্রহণ করেন। তৃতীয়ত: ওই সব লোক যারা প্রকৃতই গোনাহ ও পাপকাজের দরুণ জাহান্নামী হওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত। তারাও প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে রোজা ও এবাদত বন্দেগির মাধ্যমে নিজেদের পাপ মোচন করিয়ে নেয়ার সুযোগ লাভ করে এবং শেষ দশ দিনে আল্লাহর রহমত যখন সর্বাত্মকভাবে বর্ষিত হতে থাকে, তখন তাদেরকে জাহান্নাম হতে মুক্তি দানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আল্লাহপাক তাদেরকে জাহান্নাম হতে মুক্তি ও নিষ্কৃতি লাভের যোগ্য বলে ঘোষণা দান করেন। আল্লাহু আকবার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন