মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সরকারের দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরসহ ৪টি বসত ঘর ভাঙচুর, মারধর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের কাজীরবাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে রজ্জব আলী বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় মালখানগর ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আহসানুল ইসলাম আমিনসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিরাজদিখান থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবলীগ সভাপতি আলহাজ্ব মো.শাজাহান খান ও সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম খান স্বাক্ষরিত এক খুদে বার্তায় মালখানগর ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহসানুল ইসলাম আমিনকে সাময়িক ভাবে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন । সন্ত্রাস,দখলদারিত্ব,দল ও রাষ্ট্র বিরোধী কাজে সম্পৃক্ত থাকার অপরাধে সাময়িক ভাবে উক্ত পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, লিজের জায়গা নিয়ে কাজীরবাগ গ্রামের রজ্জব আলীর সাথে একই গ্রামের মোশারফ হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। ১ মাস আগে মোশারফ মারা যায় । বৃহস্পতিবার বিকালে মোশারফ হোসেনের পক্ষ নিয়ে ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আহসানুল ইসলাম আমিন লোকবল নিয়ে একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরসহ ৪ টি বসতঘর ভাঙচুর করে প্রতিপক্ষকে মারধর করে। এ ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছে এবং গুরুতর আহত হেলেনা বেগম (৪০) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ভুক্তভোগী রজ্জব আলী জানান, লিজের জায়গা নিয়ে আমাদের প্রতিপক্ষ মোশারফ হোসেন পর পর কোর্টে ২ টি মামলা করেছিল, মামলায় হেরে যায় তারা। একমাস আগে মোশারফ মারা যায়, তার মেয়ের জামাই ফয়সাল মাঝির সহযোগিতায়, ভাই ফিরোজ ও ছেলেরা মিলে যুবলীগের আহসানুল ইসলাম আমিনকে নিয়ে আমাদের বাড়ী ঘর ভাঙচুর, মারধর এবং লুটপাট করেছে।
সিরাজদিখান থানার ওসি মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১ টি ঘরসহ নিরীহ মানুষের ৪টি বসত ঘর ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় ভাঙচুররত অবস্থায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন