আসন্ন ঈদের আগেই গ্রেফতারকৃত আলেম উলামাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ বলেন, আলেমদের কারাবন্দি রেখে ঈদ উদযাপন কোনো বিবেকবান মানুষ মেনে নিতে পারে না। গ্রেফতার আতঙ্কে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। খেলাফত মজলিস : পবিত্র ঈদুল ফিতরের পূর্বেই খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের-সহ গ্রেফতারকৃত আলেম-উলামা ও ছাত্র জনতার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।
এক বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমীর প্রিন্সিপাল মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও লেখক ড. আহমদ আবদুল কাদের একজন প্রবীণ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। জ্বালাও-পোড়াও ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতির সাথে তাঁর বা তাঁর দল খেলাফত মজলিসের কোন দূরতম সম্পর্কও নেই। খেলাফত মজলিস নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। কিন্তু সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সরকার ড. আহমদ আবদুল কাদেরকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। দেশের অনেক খ্যাতিমান আলেম ও রাজনীতিবিদকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। রমজান মাসে আলেম-উলামা ও সম্মানিত ব্যক্তিদেরকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে কষ্ট দেয়া হচ্ছে। এখন দরকার ছিলো করোন পরিাস্থতি মোকাবেলায় সবাই মিলে চেষ্টা করা, মহান আল্লাহর কাছে পনাহ চাওয়া। কিন্তু তার না করে দেশে একটা ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা পবিত্র ঈদুল ফিতরের পূর্বেই ড. আহমদ আবদুল কাদের-সহ গ্রেফতারকৃত ঊলামায়েকেরাম ও দেশপ্রেমিক ছাত্র জনতার নি:শর্ত মুক্তি দাবি জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে মাওলানা ইসহাক অবিলম্বে আলেম-উলামা ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, নির্যাতন ও হয়রানি বন্ধেরও দাবি জানান।
ইসলামী ঐক্যজোট : ইসলামী ঐক্যজোটের নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে ঈদের পূর্বেই অবিলম্বে আলেমদেরকে নিঃশর্ত মুক্তি এবং সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, জাতির বিবেক আলেম-উলামাদেরকে কারাবন্দি রেখে ঈদ উদযাপন কোনো বিবেকবান মানুষ মেনে নিতে পারে না। আলেমদেরকে কারাবন্দি রেখে ঈদ পালন দুনিয়া ও আখিরাতের চরম অকল্যাণ ছাড়া কিছুই আনবে না”। বিবৃতিদাতারা হচ্ছেন, ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা শওকত আমীন, অধ্যাপক মাওলানা ইলিয়াস মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার শামছুল হক, সিদ্দিকুর রহমান বিকম, মাওলানা মুজাম্মিল তালুকদার, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস আতহারী, ঢাকা মহানগর সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার হোসাইন আনসারী, কেন্দ্রীয় নেতা শায়খ মুহাম্মদ ইসমাঈল, মাওলানা আনম রহীম উল্লাহ, মাওলানা আবুল কাসেম ও মাওলানা ফয়েজ উল্লাহ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন