শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

নাস্তিক্যবাদ শিক্ষা চালুর ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না

বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

জাতীয় শিক্ষানীতিতে ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্কোচনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্মহীন শিক্ষানীতি জাতিকে পঙ্গু করার নামান্তর। ইসলামী শিক্ষা সঙ্কোচন করে নাস্তিক্যবাদ শিক্ষা চালুর ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। অবলিম্বে প্রত্যেক শ্রেণিতে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ধর্মীয় শিক্ষা আজ অস্তিত্ব সঙ্কটে। জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষা সঙ্কোচনের ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের সভা-মহাসমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

কওমি মাদরাসা শিক্ষক পরিষদ ঃ কওমি মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি প্রিন্সিপাল মিজানুর রহমান পীর সাহেব দেওনা বলেছেন,আজ ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ধর্মীয় শিক্ষা আজ অস্তিত্ব সঙ্কটে। জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষা সঙ্কোচনের ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। সরকারের কাছে আমাদের তিন দফা দাবি পেশ করছি। এসব দাবিগুলো হচ্ছে, প্রথমত জাতীয় শিক্ষা কমিশনে হক্কানী আলেমদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, পাবলিক সিলেবাসে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। তৃতীয়ত, পাবলিক পরিক্ষায় ধর্ম বিষয়ে ১০০ নাম্বারের পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। অন্যথায় সারাদেশে এই দাবির পক্ষ জনমত গড়ে তোলা হবে ইনশাআল্লাহ। গতকাল শনিবার গাজীপুর কাপাশিয়া দেওনায় অবস্থিত মাদরাসায় দাওয়াতুল হকে জাতীয় উলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রিন্সিপাল মাওলানা মিজানুর রহমান চৌধুরী এসব কথা বলেন। উলামা সম্মেলনে ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থা সুরক্ষিত ও সুসংগঠিত করার লক্ষে ‘কওমি মাদরাসা শিক্ষক পরিষদ’ নামে ১৯১ সদস্য বিশিষ্ট একটি অরাজনৈতিক সংগঠন ঘোষণা করা হয়। সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হন প্রিন্সিপাল মাওলানা মিজানুর রহমান চৌধুরী এবং মহাসচিব নির্বাচিত হন মাওলানা মুস্তাকিম বিল্লাহ হামিদী।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আশেক মোস্তফা, সংগঠনের সহ-সভাপতি মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ্ আইয়ূবী,মাওলানা হামেদ জাহেরী, মাওলানা যুবায়ের আহমাদ লালবাগ, মাওলানা জসিম উদ্দীন লালবাগ, মুফতী নাসির উদ্দীন নূরী, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মাওলানা সানাউল্লাহ খান, মাওলানা ইয়ামিন হুসাইন আজমী, মাওলানা যাকারিয়া, মাওলানা দ্বীন মোহাম্মদ ও মাওলানা হুসাইন আহমাদ।

মহাসমাবেশে ইসলামী ফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ : জাতীয় শিক্ষানীতিতে ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্কোচনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্মহীন শিক্ষানীতি জাতিকে পঙ্গু করার নামান্তর। ইসলামী শিক্ষা সঙ্কোচন করে নাস্তিক্যবাদ শিক্ষা চালুর ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। অবলিম্বে প্রত্যেক শ্রেণিতে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, কার্যকর স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা, অবহেলিত সুফিবাদী জনতার অধিকার আদায় ও জাতীয় শিক্ষানীতিতে ধর্মীয় শিক্ষা সঙ্কোচনের প্রতিবাদসহ পাঁচ দফা দাবিতে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় পরিষদের গতকাল শনিবার সকালে গুলিস্তান বশিল মিলনায়তন সংলগ্ন চত্বরে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মতিন। মহাসমাবেশের ঘোষণাপত্র ১০ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেন দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল স.উ.ম আবদুস সামাদ। মহাসমাবেশে আরোও বক্তব্য রাখেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শায়খুল হাদিস আল্লামা কাজী মঈনুদ্দীন আশরাফী, কো-চেয়ারম্যান শায়খুল হাদিস সোলাইমান আনসারী, মহাসচিব পীরে তরিকত সৈয়দ মুহাম্মদ মছিহুদ্দৌলা, সাংগঠনিক সচিব প্রিন্সিপাল ড. ইছমাঈল নোমানী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট প্রেসিডিয়াম সদস্য সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী হারুন, শাহাব উদ্দীন, চৌধুরী প্রিন্সিপাল আহমদ হোসাইন আলকাদেরী, প্রিন্সিপাল ড. শেখ আফজল হোসেন, এম সোলায়মান ফরিদ, পীরে তরিকত ছাদেকুর রহমান হাশেমী, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী এম এ ওয়াহিদ সাবুরী, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম পাঠোয়ারী, প্রিন্সিপাল আবু জাফর মঈনুদ্দিন, প্রিন্সিপাল আল্লামা তৈয়্যব আলী, শেখ শাহজাদা গোলাম মুহাম্মদ আবদুল কাদের কাউকাব, অধ্যাপক নাজিম উদ্দিন, শাহজালাল আখঞ্জি, সৈয়্যদ মুজাফফর আহমদ মুজাদ্দেদী, প্রিন্সিপাল আবু তালেব বেলাল পীরজাদা গোলামুর রহমান আশরফ শাহ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন