বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

হিজাব নিয়ে আদালতের রায় ভারতের সংবিধান পরিপন্থী

বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০২২, ১২:০২ এএম

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের হাইকোর্ট হিজাব নিয়ে যে রায় ঘোষণা করেছে তা’ভারতের সংবিধান বিরোধী বলে বিভিন্ন ইসলামী নেতৃবৃন্দ মন্তব্য করেছেন। অবিলম্বে ইসলাম বিদ্বেষী এ রায় প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

ইসলামী ঐক্যজোট ঃ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি মাওলানা আব্দুর রকীব এক বিবৃতিতে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের আদালতে হিজাব বিরোধী রায়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ভারতের হাইকোটের হিজাব নিয়ে ঘোষিত রায় ভারতের সংবিধান পরিপন্থী। তিনি বলেন, ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের জওহরলাল নেহেরু এবং মাওলানা আবুল কালাম আজাদ গং এর নেতৃত্বে গঠিত সরকার ১৯৪৮ সালে দেশটির সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষ এবং মুসলমানসহ সকল ধর্মাবলম্বীরে নিজ নিজ ধর্মীয় স্বাধীনতা সুসংরক্ষিত করা হয়েছে। তাই আদালতের হিজাব নিয়ে ঘোষিত রায় ভারতীয় সংবিধান বিরোধী। এ ধরনের রায় মুসলিম জাতির হৃদয়ে চরম আঘাত হেনেছে। তিনি অনতিবিলম্বে এ ধরনের ইসলাম বিদ্বেষী রায় রদ রহিত ও বাতিল করার জন্য ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশঃ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম বলেছেন, ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের হাইকোর্ট হিজাব নিয়ে যে রায় ঘোষণা করেছে তা’ মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে কুঠারাঘাতের শামিল। এ রায়ের মধ্য দিয়ে বিচারপতিগণ নিজেদের অজ্ঞ ও মুর্খ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। কেননা ইসলামে মুসলমান প্রাপ্ত বয়স্ক নারীদের জন্য হিজাব বা পর্দার বিধানকে ফরজ তথা অপরিহার্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। ভারতের আদালত বলেছে ‘মেয়েদের হিজাব পরা কখনোই ইসলাম ধর্মের অপরিহার্য অংশ নয়’। ভারতের আদালত- এর এ ধরণের রায় চরম মুখতার পরিচায়ক। আল্লাহর বিধানের উপর রায় দেয়ার এখতিয়ার ভারত কেন বিশ্বের কোন আদালতই রাখে না। অবিলম্বে ভারতের আদতালতকে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে দেয়া রায় বাতিল করতে হবে। অন্যথায় বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা প্রতিবাদ গড়ে তুলবে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং ৩১ মার্চ ঘোষিত মহাসমাবেশের প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দলের সহকারি মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া ও মাওলানা মকবুল হোসাইন। সভায় ৩১ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় মহাসমাবেশ প্রস্তুতি পর্যালোচনা করে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন