কলাপাড়ায় মেয়েকে পরকীয়া ও আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে শ্বশুড়ের দায়ের করা মামলায় জামাতা শিমুল খলিফাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে কলাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। টিয়াখালী ইউনিয়নের মধ্য টিয়াখালী গ্রাম থেকে রোববার বিকালে তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে দুপুরে শিমুলের বসত ঘর থেকে পুলিশ তার স্ত্রী রুবিনার গলায় ফাঁস দেয়া মরদেহ উদ্ধার করে। কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহত রুবিনা চম্পাপুর ইউনিয়নের পাটুয়া গ্রামের রফিক হাওলাদারের মেয়ে। রুবিনা-শিমুল দম্পতির রাতুল নামে তিন বছরের এক সন্তান রয়েছে।
নিহত রুবিনার ভাই রাজিব হাওলাদার এ প্রতিবেদককে জানায়, প্রায় চার বছর আগে রুবিনার সাথে শিমুলের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় । বিয়েতে লক্ষাধিক টাকার উপহার সামগ্রীও দেয়া হয়। কিন্তু বছর না যেতেই বরিশালে এক নারীর সাথে শিমুল পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় প্রায়ই রুবিনাকে মারধর করতো শিমুল। এ নিয়ে পারিবারিক পর্যায়ে একাধিকবার বসা হলে শিমুলের নির্যাতন থামেনি। রোজার আগে শিমুলের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে দেড় মাস বাবার বাড়িতে গিয়ে থাকে। পরে আবার তাকে বাসায় নেয় শিমুল। তিনি আরো জানায়, শনিবার তার বোন রুবিনা কুয়াকাটা বেড়াতে যেতে চায়। শিমুল পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে রুবিনাকে কুয়াকাটা ঘুরতে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই শিমুলের পরকীয়া প্রেমিকা উপস্থিত ছিলো। বিষয়টি রুবিনা দেখে ফেলে। রাতে বাসায় এসে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। সকালে তারা খবর পায় বোন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু পরকীয়ার কারণে তার বোনকে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। তার পিতা মামলায় এ বিষয়টি উল্লেখ করেছে।
এবিষয় কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে মধ্য টিয়াখালী গ্রামের শিমুলের ঘর থেকে গৃহবধূ রুবিনার মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত শিমুলকে গ্রেফতার করেন। যার মামলা নং-১১। সোমবার নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন