সিলেট জেলার ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তারের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট সৃষ্টির অভিযোগসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন সিলেট- ২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান।
তিনি গতকাল বাগবাড়িস্থ নিজ বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্যে তাহমিনা আক্তারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। লিখিত বক্তব্যে এমপি মোকাব্বির খান বলেন, সরকার দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। যেখানে বিনামূল্যে জমি পাওয়া যাবে না, সেখানে ৩ গুণ বেশি টাকা দিয়ে জমি অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু ওসমানীনগর উপজেলায় এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য বিনামূল্যে জমি দানের আগ্রহী ব্যক্তি থাকা সত্তে¡ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তারের সক্রিয় সহযোগিতায় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট জমি অধিগ্রহণের নামে প্রায় ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছিলো। বিষয়টি প্রমাণসহ এমপি মোকাব্বির খানের নজরে আসলে তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে ডিওলেটার পাঠান এবং জাতীয় সংসদে বিষয়টি উত্থাপন করেন।
একই ভাবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য স্থান নির্ধারণের ক্ষেত্রেও ওসমানী নগরের ইউএনও সরকারি বিধি বিধান উপেক্ষা করে সিন্ডিকেটের স্বার্থে কাজ করে আর্থিক মুনাফা অর্জনে সচেষ্ট রয়েছেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় সাংসদের নির্দেশ থাকা সত্তে¡ও প্রজাতন্ত্রণের কর্মচারী হয়ে জনগণের স্বার্থকে উপেক্ষা করে নিজের এবং সিন্ডিকেটের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে আসছেন। এ ব্যাপারে যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ এমপি মোকাব্বির খানের কাছে রয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে টিসিবি’র পণ্য বিক্রির একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। যা খোলাবাজারে বিক্রির ব্যাপারে ইউএনও’র যোগসাজস রয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক টিআর, কাবিটা প্রকল্পে ১০-১৫% টাকা ইউএনও’র পকেটস্থ হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। যারা তার দাবি মোতাবেক টাকা পরিশোধ করতে পারেননি, তাদের বিল আটকে রেখে তিনি নানা ভাবে হয়রানি করে যাচ্ছেন। তার এসব কর্মকান্ডে জনগণ তাদের সরকারি সেবা ও সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পাশাপাশি সরকারের ভাবমূতি ও উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদাল মিয়া, তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরান রব্বানী, দয়ামীর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুর উদ্দিন আহমদ নুনু, প্রবাসী কমিউনিটি নেতা গোলাম কিবরিয়া, সুফি মিয়া, শহিদ আহমদ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন