শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

অবশেষে পরীমণি বললেন, পুলিশ ম্যাজিকের মতো কাজ করেছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০২১, ৯:০৫ পিএম

গত দুদিন ধরে মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত, চিত্রনায়িকা পরীমণি বলেছেন, মিডিয়ার মানুষরা নতুন নতুন গল্প বানায়। ডিবি কার্যালয়ে আসার সময় অনেকে জানতে চেয়েছেন, আমাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? আসলে আমাকে কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়নি। আমি একা একাই এসেছি এখানে। এখানে এসে আমি মেন্টালি রিফ্রেশ। মঙ্গলবার ( ১৫ জুন) বিকেলে ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

জনপ্রিয় এই নায়িকা বলেন, আমি যে কাজে ফিরবো সেই শক্তিটা পুলিশ আমাকে দিয়েছে। তারা আমাকে শক্তি যুগিয়েছে। আমি তাদের কাছে এতোটা আশা করিনি। তারা এতোটা বন্ধু সুলভ হবে ভাবিনি। গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদকে উল্লেখ করে বলেন, স্যার অনেকটা ম্যাজিকের মতো সবকিছু করেছেন। এতোটা তাড়াতাড়ি ম্যাজিকের মতো পুলিশ আমাকে সহযোগিতা করবে, সেটা আমি ভাবতেও পারিনি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দেখলাম অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস সঠিক বিচার পাবো। তিনি আইজিপির সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করেন। অথচ দুদিন আগে তার ভাষ্য ছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। এসময় ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমরা পরীমণির কাছে ঘটনা নিয়ে কথা বলেছি। আমরা তাকে আশ্বস্ত করেছি, তার যে অভিযোগ, তা যথাযথভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো। পরীমণিকে আমরা আশ্বস্ত করেছি। তাকে নির্ভয় দিয়েছি।

প্রসঙ্গত, সাভার থানায় নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ ছয় জনের নামে মামলা দায়ের করেন নায়িকা পরীমনি। সোমবার (১৪ জুন) দুপুরে পরীমণি নিজে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে পরীমনি বলেন, গত ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার বনানীর বাসা থেকে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি (৩০), অমি (৪০) ও বনিসহ (২০) দুটি গাড়িযোগে উত্তরার উদ্দেশে রওনা হই। পথে অমি বেড়িবাঁধস্থ ঢাকা বোট ক্লাবে তার দুই মিনিটের কাজ আছে বলে জানায়। অমির কথামতো সবাই রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে গিয়ে গাড়ি দাঁড় করাই। কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোনও এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলে। তখন ঢাকা বোট ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেয়। পরে আমার ছোট বোন বনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বোট ক্লাবে প্রবেশ করে ও বারের কাছের টয়লেট ব্যবহার করে। টয়লেট থেকে বের হতেই এক নম্বর বিবাদী নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদের ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন এবং কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন। আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ এক নম্বর আসামি মদপানের জন্য জোর করেন। আমি মদপান করতে না চাইলে এক নম্বর আসামি জোর করে আমার মুখে মদের বোতল প্রবেশ করিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। এতে আমার সামনের দাঁতে ও ঠোঁটে আঘাত পাই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন