নানা কারণে কিডনি, মূত্রনালি বা মুত্রথলিতে পাথর হতে পারে। কেন পাথর হয় তার সবকিছু এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। তবে বেশ কিছু কারণ জানা গেছে। এসব থেকে দূরে থাকতে পারলে কিডনিতে পাথর হবার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।
কিডনিতে যাতে পাথর না হয় সেজন্য পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে। তবে যাদের কিডনিতে সমস্যা আছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পানি খাবেন। কারণ তাদের ক্ষেত্রে পানি বেশি খেলে সমস্যা হতে পারে। হিসেব করে পানি খেলে কিডনি ভালো খাকবে।
ক্যালশিয়াম বেশি খেলে কিডনিতে তা জমে পাথর হয়। সুতরাং ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া মাত্রাতিরিক্ত ক্যালশিয়াম খাওয়া যাবেনা। দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারে ক্যালশিয়াম থাকে অনেক। এসব খাবার খুব বেশি গ্রহণে রেনাল স্টোনের সম্ভাবনা বাড়ে।
মূত্রথলিতে বা প্রস্রাবে ইনফেকশন বারবার হলে কিডনিতে পাথরের সম্ভাবনা বাড়ে। বারবার ইনফেকশন হলে কারণ বের করার চেষ্টা করতে হবে। ইনফেকশন হলে দ্রুত চিকিৎসা করতে হবে। অনেকসময় দীর্ঘদিন এন্টিবায়োটিক খাওয়া লাগতে পারে। মেয়েদের প্রস্রাবের ইনফেকশন অনেক বেশি হয়।
প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি খেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে প্রোটিন ও ফ্যাট জাতিয় খাবার গ্রহনের প্রবণতা বাড়ছে। এতে বাড়ছে কিডনিতে পাথর হবার সম্ভাবনা।
খুব গরমের মধ্যে দীর্ঘদিন কাজ করলে শরীর থেকে বেশী পানি বের হয়ে যায়, ডিহাইড্রেশন হয়, তখন কিডনিতে পাথর হতে পারে। তাই এরকম পরিবেশে কাজ করলে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। গরমে ছাতা বা ক্যাপ ব্যবহার করতে হবে।
অক্সালেট জাতীয় খাবার কিডনিতে পাথর করতে পারে। সিম, মটরশুঁটি, বিভিন্ন শাকে, চকোলেট এবং কফিতে প্রচুর অক্সালেট থাকে। এসব বেশি খেলে পাথর হতে পারে।
এসব সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললে রেনাল স্টোন বা কিডনিতে পাথরের ভয় অনেকটা কমে। কিন্তু এই অসুখ শরীরে বাসা বাঁধলেও অনেকেই প্রথম অবস্থায় বুঝে উঠতে পারেন না। অনেকসময় কিডনি অনেকদূর ক্ষতি হয়ে গেলে তারপর ধরা পড়ে। তাই সাবধান হয়ে চলতে হবে। কোনরকম সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তার দেখাতে হবে। তবে আশার কথা কিডনির পাথরের অনেক আধুনিক ভাল চিকিৎসা আছে। কিডনিতে পাথর হলে ইউরলজিস্ট এর পরামর্শে চিকিৎসা নেবেন।
ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন