এফডিসির আগের জৌলুস এখন আর নেই। নিয়মিত শুটিংও হয় না। ফলে এফডিসির সবচেয়ে সুন্দর স্পট হিসেবে পরিচিত ‘ঝর্ণা স্পট’ও তার সৌন্দর্য হারিয়েছে। এখন আর ঝর্ণা নেই। ছোট্ট পুকুরে শেওলা জমেছে। পুকুরের উপর ব্রিজটিও অযত্নে পড়ে আছে। ছোট্ট টিলার উপর থেকে যে ঝর্ণা বইত তা বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ এই ঝর্ণা স্পটটি ছিল এক সময় চলচ্চিত্র শুটিংয়ের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। এখন কোনো সিনেমায় এই ঝর্ণা স্পট দেখা যায় না। দীর্ঘদিন শুটিং না হওয়ার কারণে এর রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না। কৃত্রিম ঝর্ণা তৈরিতে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ দীর্ঘদিন ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ঝর্ণা ¯পটের লেকের মাঝে যে ফোয়ারা ছিল সেটির কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।লেকের উপরের ছোট্ট ব্রিজটা কোনো রকমে টিকে আছে। এফডিসির এক কর্মকর্তা জানান, ঝর্ণা ¯পটের পাশে এফডিসির মসজিদের নির্মাণকাজ চলছে। এর নির্মাণকাজ শেষ ঝর্ণা ¯পটের সংস্কার কাজ হতে পারে। তিনি জানান, এফডিসির সাজসজ্জা ও আধুনিকায়নে প্রতি বছরই অর্থ চেয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) পাঠায় এফডিসি। সেই প্রকল্পের অর্থ পেলে ঝর্ণা ¯পটের সংস্কার করা হবে বলে জানান তিনি। এর আগে ২০২০ সালের মার্চে সাজসজ্জা ও আধুনিকায়নে ৭ কোটি টাকা চেয়ে তথ্য ও সম্প্রচার এফডিসির ডিপিপি পাঠানোর খবর এসেছিল গণমাধ্যমে। সেই অর্থই এখনও মেলেনি। উল্লেখ্য, কয়েক বছর ধরে আর্থিক সঙ্কটের মুখে নিজেদের অর্থে কর্মীদের বেতন দিতে পারছে না এফডিসি। বেতন পরিশোধে সরকারি অনুদানের উপর নির্ভর করে চলছে প্রতিষ্ঠানটি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন