বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

তিস্তা বিপৎসীমায়, প্রধান বাধ হুমকির মুখে

নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০২১, ৫:২৭ পিএম

তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দিয়েছে। উজানের ঢলের পানির তোড়ে নীলফামারীর ডাউয়াবাড়ি এলাকায় ডানতীর প্রধান বাধ হুমকির মুখে পড়েছে। শুক্রবার নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারাজের খালিশাচাপানী পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার (৫২.৬০) ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। সকাল ৯টায় ১০ সেন্টিমিটার পানি কমলেও নদীর চরগ্রামগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তকীকরণ সূত্র জানায়, উজানের ঢলে তিস্তায় বন্যা সৃস্টি করেছে। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, উজানের ঢলের কারনে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ডাউয়াবাড়ি এলাকার ডানতীর প্রধান বাধ হুমকীর মুখে পড়েছে। বাধ রক্ষায় সেখানে বালির বস্তা, কাঠের ও বাঁশের পাইলিং করা হচ্ছে।

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৭ ইউনিয়ন, পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী ও ঝুনাগাছ চাঁপানীর ইউপি চেয়ারম্যানগণ জানান, উজানের ঢলে তিস্তার বন্যায় ডিমলার কিছামত ছাতনাই, ঝাড় শিঙ্গেশ্বর, চর খড়িবাড়ি, পূর্ব খড়িবাড়ি, পশ্চিম খড়িবাড়ি, তিস্তা বাজার, তেলির বাজার, ছোটখাতা বাইশ পুকুর, ছাতুনামা, ভেন্ডাবাড়ি এলাকার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সেখানকার মানুষজন গরু ছাগল নিয়ে নিরাপদে সরে গেছে। এতে করে প্রায় ৫ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়েছে।

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান জানান, এবার ভয়ংকর বন্যা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, গত কয়েকদিন থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে বন্যা কবলিত হয়ে পড়া মানুষজনকে সরিয়ে নিতে কষ্ট পেতে হচ্ছে। রাতে পূর্ব খড়িবাড়ি, পশ্চিম খড়িবাড়ি, ঝিঞ্জির পাড়া বেশকিছু গ্রামের প্রতিটি বাড়ি হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। মইনুল হক আরও জানান, তার এলাকার চরখড়িবাড়ি মৌজাটি চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সেখানকার স্বেচ্ছাশ্রম বাধটি এখন হুমকীর মুখে। সেখানে বালুর বস্তা দিয়ে ঠেক দেয়ার চেষ্টা চলছে। এই বাঁধটি ভেঙ্গে গেলে চরখড়িবাড়ি মৌজার ২ হাজার পরিবারের বসতভিটা তলিয়ে যাবে।
খালিশা চাঁপানীর ছোটখাতা গ্রামে তিস্তার পানি প্রবেশ করে অসংখ্য বসতভিটার ভেতর দিয়ে প্রবেশ করছে বলে জানালেন খালিশা চাঁপানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন