উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে ফের বাড়তে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি। কয়েক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পানি কম থাকলেও আজ বিকেল ৩টা থেকে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখেছে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। ফলে তিস্তা চরাঞ্চলের অনেক বসতবাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেমি) বিপৎসীমার দশমিক ১০ সেন্টিমিন্টার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিকেল ৩টার পর থেকে পানি বেড়ে বিপৎসীমার দশমিক ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে ব্যারাজ রক্ষায় ৪৪টি স্লুইসগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। পানি কমার সম্ভাবনা দেখছি না। বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতিতে পানির প্রবাহ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সর্বদা প্রস্তুত আছে।
গত ১ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ বিপৎসীমার দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছিল। এতে ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী এবং জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী এলাকার কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। পরে দফায় দফায় পানি কমতে শুরু করলে এসব গ্রামের সব বাড়িঘর থেকে পানি নেমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন