শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

খালি হাতে ফিরছেন ক্রেতারা

লোহাগড়া (নড়াইল) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

লোহাগড়ায় করোনাকালে ওএমএসের চাল ও আটা ক্রয় করতে সকাল থেকে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও চাল-আটা না পেয়ে মলিন মুখে খালি হাতে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে অনেকে। চাল-আটা বিক্রিকালে প্রচুর ভিড় থাকলেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমনে লকডাউনে কর্মহীন সাধারণ মানুষের সহায়তার জন্য সরকার লোহাগড়া পৌর এলাকায় গত ২৫ জুলাই থেকে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম চালু করেছে। শুক্রবার ব্যতীত সপ্তাহের প্রতিদিনই সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত পৌরসভার ৩ টি বিক্রয় কেন্দ্রে খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রয় করা হচ্ছে।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লোহাগড়া বাজারের ডিলার প্রবীর কুমার কুন্ডু ও লক্ষীপাশা বাজারের মুঞ্জুর শেখের দোকানে সকাল সাতটা থেকেই অনেকে লাইনে চাল-আটা নেয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। তবে কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। নয়টা থেকে বিক্রয় শুরু হলেও লাইনে থাকা সবাই পাওয়ার আগেই দু’ ঘণ্টার মধ্যে বরাদ্দকৃত চাল-আটা শেষ হয়ে যায়। পৌর এলাকার গোপিনাথপুর গ্রামের বাবু শেখ, মর্জিনা বেগম , লোহাগড়ার সরদার পাড়ার বাসন্তি রায়, মহানন্দ পাল, লক্ষীপাশা গ্রামের সন্তোষসহ অনেকে জানান, আমরা পরপর দু’ দিন দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়ে থেকেও চাল-আটা পাইনি।
ওএমএস ডিলার প্রবীর কুমার কুন্ডু জানান, সকাল থেকেই বিক্রয় কেন্দ্রে উপচেপড়া ভিড় হচ্ছে। চাল-আটা বরাদ্দের পরিমান কম হওয়ায় সবাইকে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আর স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য বলা হলেও কেউ কেউ মানছে না।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মান্নান আলী বলেন, পৌরসভার ৩ টি পয়েন্টে ওএমএস কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বিক্রয় কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন একজন ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল এবং ১৮ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি আটা ক্রয় করতে পারবেন। ডিলার এবং বরাদ্দের পরিমান বাড়ানোর জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন