বরিশাল থেকে হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লঞ্চ ও বাস চলাচল। বরিশালের ভেতর কিংবা এর বাইরে কোনও স্থানেই যাচ্ছে না যাত্রীবাহী বাস কিংবা লঞ্চ। বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা বরিশাল থেকে লঞ্চ ও বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।
পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ধর্মঘটের এমন পরিস্থিতিতে দুর্ভোগে পড়েছেন গন্তব্যে পৌঁছানোর অপেক্ষায় থাকা সাধারণ যাত্রীরা। বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। গন্তব্যে যেতে অনেকে অপেক্ষা করে আছে বাসস্ট্যান্ড ও লঞ্চঘাটে। দ্রুত বাস ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক করার দাবি জানান তারা।
মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি পরিমল চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার রাতে আকস্মিকভাবে সিটি মেয়র ও আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এতে আমাদের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনার সঠিক বিচার দাবিতে শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।
বরিশাল নদী বন্দরে থাকা লঞ্চের শ্রমিকরা জানান, স্থানীয়ভাবে লঞ্চ চলাচলে নিষেধ করা হয়েছে তাদের। তাই সকাল ৮টার পর থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে কে বা কারা লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন, তা জানাতে রাজি হননি শ্রমিকরা।
বরিশাল বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সদর উপজেলার ইউএনও ও বিসিসি কর্তৃপক্ষের ভেতর ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জের ধরে মালিকরা সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছেন। তবে লঞ্চ চলাচল শুরু করার ব্যাপারে মালিকদের সঙ্গে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) আলোচনা চালাচ্ছে।
এদিকে বরিশাল নথুল্লাবাদ ও রূপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে স্থানীয় ও দূরপাল্লার সব রুটে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে একই কারণে।
সকালে উভয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, কাউন্টারগুলো তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। টার্মিনালের সামনের মহাসড়কগুলোতে আড়াআড়ি করে বাস রেখে সৃষ্টি করা হয়েছে প্রতিবন্ধকতা। এতে ট্রাকসহ বড় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
এদিকে হঠাৎ করে যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পরেছেন যাত্রীরা। তারা জানান, অনেকের নির্ধারিত নানা কর্মসূচি ছিল। কিন্তু নদীবন্দরে এসে লঞ্চ চলাচল বন্ধ দেখতে পান তারা। এ রকম দুর্ভোগে পড়েছেন দুই বাস টার্মিনালে আসা যাত্রীরাও।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন