বগুড়ায় শিশুকে যৌন পীড়নের কথিত অভিযোগে সালিস বৈঠকে পৌর কাউন্সিলের মারপিটে আব্দুল মমিন (২৫) নামের এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় বগুড়া পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বিটুকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত মমিন ফুলবাড়ি মধ্যপাড়ার রেজাউলের ছেলে। পেশায় হোটেল শ্রমিক। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় মমিন।
নিহত মমিনের স্ত্রী বর্ষা জানায়, শুক্রবার স্থানীয় এক রিকশা চালকের শিশু কন্যাকে যৌন নিপীড়নের কথিত অভিযোগ তুলে পৌর কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বিটু মমিনকে ফুলবাড়ি ফাউন্ডেশন নামের একটি ক্লাব ঘরে ডেকে নেয়। সেখানে সালিস বৈঠকের নামে কাঠের বাটাম দিয়ে তাকে বেধড়ক পিটায়। পরে মমিনের বাবাকে ডেকে তার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওই সময় মমিনের স্ত্রী শহরের কলোনী এলাকায় নিজের বাবার বাড়িতে অবস্থান করায় পরদিন শনিবার সন্ধ্যার পর মমিন সেখানে যান।
মমিন স্ত্রীকে শিশুকে যৌন নিপীড়নের কথিত অভিযোগে মারপিটের শিকার হওয়ার কথা বললে স্ত্রী বর্ষাও তার স্বামীকে গালমন্দ করে। ফলে শনিবার রাতেই মমিন শ্বশুরবাড়ি থেকে ফুলবাড়িতে তার নিজের বাড়িতে ফিরে মমিন অসুস্থ বোধ করলে রোববার সকালে মমিনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মমিন মারা যান।
পৌর কাউন্সিলর বিটু বিষয়টি জানতে পেরে মরদেহ নিজ উদ্যোগে মমিনের বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং তার খরচে দাফনের প্রস্তুতি নেন। বিকেলে ঘটনাটি সদর থানা পুলিশ জানতে পেরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি পৌর কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বিটুকে থানায় নিয়ে এসে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠায় তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন