শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ফুলপুরে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ, ৩ যুবক গ্রেফতার

ফুলপুর (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২১, ৯:১১ পিএম

ময়মনসিংহের ফুলপুরে ১৭ বছর বয়সী এক বাক প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ ও অন্তঃসত্ত্বার ঘটনায় তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে ফুলপুর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ৩ যুবক উপজেলার গায়রা পুর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা ঢাকায় বাসাবাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন এবং তার বাবা বাড়িতে থেকে দিনমজুরের কাজ করেন। বাবা ও ছোট ভাইয়ের সাথে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী গ্রামের বাড়িতে থাকেন। ছোট ভাই পড়াশোনার জন্য কোচিং করে।মাঝে মধ্যে মা ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে তাদের দেখে যান। মা ঢাকায় এবং বাবা ও ছোট ভাই নিজেদের কাজে বাড়ির বাহিরে থাকার সুযোগে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে বাড়িতে একা পেয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গায়রা পূর্বপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে শামীম মিয়া (১৮) ১২ ফেব্রুয়ারী তারিখ রোজ সোমবার, জালাল উদ্দিনের ছেলে পারভেজ মোশারফ ৩ মার্চ রোজ সোমবার ও সাগির মাহমুদের ছেলে হাতেম আলী (৫০) ৮ মার্চ রোজ সোমবারসহ বিভিন্ন সময় ৩ জনেই একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এতে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায়।

পরে মা ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন দেখে মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সে ইশারায় ওদের নাম বলে। বর্তমানে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলেও জানায়। এরপর উক্ত বিষয় নিয়ে গ্রাম্য শালিস হলেও তাতে অভিযুক্তরা ও তাদের লোকজন উশৃংখল আচরণ করেন। গ্রাম্য শালিসে বিচার না পেয়ে অবশেষে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা ফুলপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০(সং/০৩) এর ৯(১) ধারায় পৃথক পৃথকভাবে তিনজনের নামে মামলা দায়ের করেন। এরপর বৃহস্পতিবার ভোররাতে উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের গায়রা পূর্বপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে শামীম মিয়া (১৮), জালাল উদ্দিনের ছেলে পারভেজ মোশারফ (২১) ও মৃত সাগির মাহমুদের ছেলে হাতেম আলী (৫০)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পৃথক তিনটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফুলপুর থানার এসআই জেনিফার ইসলাম।

ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে ময়মনসিংহের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেইসাথে ভিকটিমের জবানবন্দি ও ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন