পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ৪নং ইকড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের হাতে গত মঙ্গলবার বিকেলে মো. মাকসুদ হাওলাদার নামে এক হতদরিদ্র মারধরের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, উপজেলার ৪নং ইউনিয়নের পশ্চিম পশারিবুনিয়া গ্রামের মৃত আ. ছত্তার হাওলাদারের ছেলে মো. মাকসুদ হাওলাদার খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় সুলভ মূল্যের ৩০ কেজি চাল না পাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তার কার্ড বাতিলের অভিযোগ দেন।
এতে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগী মাকসুদকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রকাশ্যে চরথাপ্পর মারে। এছাড়া ১৮৮নং কার্ডধারী মৃত আ. রশিদ হাওলাদারের ছেলে মো. রফিকের চাল ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য তুলে নিছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ডিলার মো. মোজ্জামেল হক ও ইউপি সদস্য মিলে আরো অনেকের কার্ডের চাল আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক সুমন চন্দ্র মন্ডল জানায়, গত মার্চ মাসে মো. মাকসুদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির। এলাকায় না থাকার অভিযোগ দিয়ে চেয়ারম্যান নাম কেটে দিয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানতে চান- মাকসুদকে মেরেছি তার কোন স্বাক্ষী আছে আপনার কাছে লিখিত অভিযোগে। এ বলে মোবাইল ফোন কেটে দেন। এদিকে উপজেলার সিসি টিভি ক্যামেরায় তাকে মারধরের ঘটনা দেখা যায়। তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত ও প্রভাবশালী চেয়ারম্যান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলছে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা রানী ধর জানান, তিনি কোন লিখিত অভিযোগ পাননি। তবে কার্ডের ব্যাপারে অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে এটি মাকসুদের কিনা সঠিক বলতে পারছি না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন