ব্যাংকের ইচ্ছাকৃত বা স্বভাবজাত ঋণখেলাপিদের নিয়ে আলোচনা বেশ পুরোনো। এসব ঋণখেলাপির মধ্যে কারা ব্যবসা করেও ব্যাংকের টাকা ফেরত দিচ্ছে না, কারা সমস্যায় পড়ে তা পরিষ্কার নয়। এ রকম পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) এখন থেকে তিনবারের বেশি কোনো ঋণ পুনঃতফসিল করতে পারবে না। আর তৃতীয় দফা পুনঃতফসিলের পরও যদি কোনো গ্রাহক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাকে স্বভাবজাত বা ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করে এমন নির্দেশনা দিয়েছে। এর ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছাকৃত খেলাপি চিহ্নিত শুরু হলো। এ ছাড়া ব্যাংক কোম্পানি আইনে ইচ্ছাকৃত খেলাপির সংজ্ঞা যুক্ত করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
এখন থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও কেবল বিরূপ মানে শ্রেণিকৃত (নিম্নমান, সন্দেহজনক ও ক্ষতিজনক) ঋণ পুনঃতফসিল করতে পারবে। ঋণ নিয়মিত করার প্রতিটি পর্যায়ে গ্রাহক থেকে নির্ধারিত হারে এককালীন জমা নিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পুনঃতফসিল করা ঋণের যে পরিমাণ অর্থ আদায় হবে, তার বিপরীতে যে সুদ মিলবে, সেটিই শুধু আয় খাতে নেয়া যাবে। এখন থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও কেবল বিরূপ মানে শ্রেণিকৃত (নিম্নমান, সন্দেহজনক ও ক্ষতিজনক) ঋণ পুনঃতফসিল করতে পারবে। ঋণ নিয়মিত করার প্রতিটি পর্যায়ে গ্রাহক থেকে নির্ধারিত হারে এককালীন জমা নিতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, কোনো মেয়াদি ঋণ নিম্নমান থাকা অবস্থায় প্রথম দফায় ৪৮ মাস, দ্বিতীয় দফায় ৩৬ মাস ও তৃতীয় দফায় ২৪ মাসের জন্য পুনঃতফসিল করা যাবে। আর মন্দ মানে শ্রেণিকৃত সন্দেহজনক ঋণ প্রথম দফায় ৩৬, দ্বিতীয় দফায় ২৪ ও তৃতীয় দফায় ১৮ মাসের জন্য পুনঃতফসিল করা যাবে। স্বল্পমেয়াদি ঋণের মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ বা সর্বশেষ কিস্তি পরিশোধের পর প্রথম দফায় সর্বোচ্চ ১২ মাসের জন্য পুনঃতফসিল করা যাবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ছয় মাস করে নিয়মিত করতে পারবে এনবিএফআইগুলো। প্রথম দফা ঋণ পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে মেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি উভয় ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণ কিস্তির ন্যূনতম ১৫ শতাংশ বা মোট বকেয়ার ১০ শতাংশের মধ্যে যেটি কম, সেই পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন