শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

খাঁটি দুধ ব্যবহারে ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে দইয়ের

ভেজালের ভিড়ে আসল খুঁজে পাওয়া কঠিন

মো. খলিল সিকদার, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

মিষ্টি দই খেতে পছন্দ করেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুস্কর। রসগোল্লার বাইরেও হরেক রকমের মিষ্টি পাওয়া যায়। স্বাদেও কমবেশি ভিন্নতা থাকে। আর মিষ্টি খাওয়ার পর দই হলে তো কথাই নেই। বিশেষ করে গ্রাম পর্যায়ে সাপ্তাহিক হাটের দিনও সবকিছুর সাথে মিষ্টির দোকানও থাকবে।
মিষ্টি কিংবা দই যেটাই হোক গরুর খাঁটি দুধে তৈরি হলে তার চাহিদা থাকে অনেক বেশি। খাদ্যদ্রব্যে ভেজালের ভিড়ে আসলকে খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন। পাউডার দুধে তৈরির পর গরুর খাঁটি দুধের বলে দই হরদম বিক্রি হচ্ছে। আবার ফরমালিন মিশিয়েও দই বিক্রি করা হয়।

ভেজালের ভিড়ে গরুর ‘খাঁটি’ দুধে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তৈরি হয় সুস্বাদু দই। স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটিয়ে রূগঞ্জের দই শোভা পাচ্ছে রাজধানীর অভিজাত মিষ্টির দোকানগুলোতে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ির একটি মিষ্টির দোকানের মালিক আমির মিল্কি জানান, রূপগঞ্জের একাধিক খামারি দুধ দিয়ে যেতেন। সেই দুধ দিয়ে দই-মিষ্টি তৈরি করা হতো। বর্তমানে রূপগঞ্জ থেকে সরাসরি দই কিনে এনে বিক্রি করেন।

খিলক্ষেত থানা এলাকার অপর একটি মিষ্টির দোকানের মালিক পরান মন্ডল বলেন, রূপগঞ্জের কারিগররা ভালো করেই জানেন সুস্বাদু দই কিভাবে তৈরি করতে হয়। তাদের তৈরি দইয়ের চাহিদা সবেচেয়ে বেশি। প্রতিদিন রূপগঞ্জের দই আনতে হয়। তিনি আরো জানান, পূর্বাচল এলাকার শতাধিক খামারি দই তৈরির জন্য দুধের জোগান দেয়। পূর্বাচল হাবিন নগর এলাকার মিষ্টির দোকানের মালিক আবুল হোসেন বলেন, রূপগঞ্জের দই যে একবার খাবে তার আর অন্য দই পছন্দ নাও হতে পারে।

রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. ফয়সাল আহমেদ বলেন, শরীরকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে দইয়ের কোনো বিকল্প হয় না। দইয়ে থাকা প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ভাল ব্যাকটেরিয়া ওজন কমানোর পাশাপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। পাশাপাশি শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি দূর করাসহ রক্তচাপ কমানো ও প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
রূপগঞ্জের ভুলতায় তাঁতবাজারে দই তৈরির একটি কারখানায় গিয়ে দেখা যায় সবাই ব্যস্ত। কারিগররা গাভী থেকে আহরিত দুধ দিয়ে দই বানাতে সারি সারি মাটির পাত্র রেখেছেন। কেউ চুলায় দুধ গরম করছেন। আরেকটি গ্রুপ মাটির পাত্রে দুধ ঢালার পর তৃতীয় গ্রæপ সেই পাত্রগুলো ঢেকে দিচ্ছেন।

এভাবে দিনশেষে পাঁচ শতাধিক কেজি দুই উৎপাদন হয় ওই কারখানায়। কারখানা মালিক আব্দুর রহিম জানান, স্থানীয়ভাবে ৪টি শাখা ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন মিষ্টির দোকান এমনকি অভিজাত খাবার হোটেলেও দই বিক্রির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আর চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রতিদিন গড়ে ৭০০ থেকে দেড় হাজার কেজি দই উৎপাদন করা হয়। অর্ডার বেশি থাকলে তখন আরো বেড়ে যায়। তিনি আরো বলেন, খাঁটি দুধ ব্যবহার করায় দইয়ের ব্যাপক চাহিদা বাড়ছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন