প্রশ্ন : আমার চুলে রং করি। আর্টিফিশিয়াল রং ব্যবহার করি। এটা কি ইসলাম সাপোর্ট করে। এ অবস্থায় কি আমার নামাজ হবে?
নাবিলা, উত্তরা, ঢাকা।
উত্তর : প্রয়োজনে চুলে রং করা ইসলাম নিষেধ করে না। তবে রং মেহেদি হোক বা আর্টিফিশিয়াল, চুলের ওপর এর আলাদা প্রলেপ যেন না পড়ে। রং যেন চুলে মিশে একাকার হয়ে যায়। মেয়েদের রং মাখার উদ্দেশ্য যদি পরপুরুষকে দেখানো হয়, তাহলে তা বৈধ নয়। রং শুধু নিজের সুন্দরতা, নারী মহলে চলাচল ও আপন পুরুষদের দেখানোর জন্য বৈধ হতে পারে। আপন পুরুষ মানে, যাদের সামনে শরিয়ত চুল খোলা রাখা জায়েজ রেখেছে। চুলে যদি আলাদা প্রলেপ না পড়ে, ফরজ গোসলের সময় যদি চুল ঠিকমতো ভিজে, রং যদি অস্তিত্বহীন হয়ে চুলে মিশে যায়, তাহলে এমন রং নিয়ে নামাজও হবে।
প্রশ্ন : আমার আব্বা নেই। আমরা দুই ভাই। একটি বাড়ি আছে। একটি দোকান আছে ভাড়া দেয়া। আম্মা শিশুদের স্কুলে সামান্য সম্মানীতে শিক্ষকতা করেন। আমাদের আয় খুবই কম। এ অবস্থায় আমাদের ওপর কি কোরবানি ওয়াজিব?
রফিকুল ইসলাম,
ধর্মপাশা, সুনামগঞ্জ।
উত্তর : বোঝা যায়, আপনাদের সবাই এখনো একসাথেই আছেন। ভাইদের কেউই উপার্জনশীল নন। আম্মার সামান্য আয়ে সংসার চলে বলে মনে হয়। সাথে দোকান ভাড়াও আছে। যদি জাকাতের নেসাব পরিমাণ সম্পদ এক জাকাতবর্ষ আপনাদের প্রত্যেকের হাতে থাকত; তাহলে সবারই জাকাত ফরজ হতো। আর যদি এ পরিমাণ সম্পদ ঈদুল আজহার দিনে কারো হাতে থাকে তাহলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে। বসতবাড়ি, পতিত জমি ও ভাড়া দেয়া দোকান জাকাতের আওতায় পড়ে না। তবে নগদ টাকা, ব্যবসা পণ্য, স্বর্ণ-রূপা, (ফিতরা ও কোরবানির ক্ষেত্রে আসবাবপত্র) সব মিলিয়ে যদি কারো হাতে নেসাব পরিমাণ (সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্য কিংবা সমমূল্যের টাকা পয়সা) থাকে তাহলে সে কোরবানি দিবে। জাকাতবর্ষ পার হলে জাকাত দিবে। এখন আলাদা আলাদা করে আপনাদের তিনজনের আর্থিক অবস্থা নিজেরাই বিবেচনা করে দেখুন, আপনাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব কি না। কেননা, মানুষের ব্যক্তিগত আর্থিক অবস্থা কেবল সে নিজেই জানে।
আল্লামা মুফতী উবায়দুর রহমান খান নদভী
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন