শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

প্রতিপক্ষ দমনে জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসী আইন’ ব্যবহারের অভিযোগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০২১, ৯:৫৯ পিএম

চরমপন্থিদের শনাক্ত এবং গ্রেফতারে বাইডেন প্রশাসনের সন্ত্রাস বিরোধী দফতরের উদ্যোগে ২৭০০ তদন্ত শুরু হয়েছে। এর আগে কখনোই কোন বছর এক হাজারের বেশী তদন্ত চলেনি বলে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ের সূত্র উল্লেখ করেছে। এমনকি ট্রাম্প প্রশাসনের ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৩ বছরেও তিন হাজার অভিযোগের তদন্তে গ্রেফতার হয়েছিল ৮৪৬।
এফবিআইসহ বিভিন্ন সংস্থা আলাদা আলাদাভাবে পরিচালনা এসব তদন্ত। প্রেসিডেন্ট বাইডেন দায়িত্ব গ্রহণের পর অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসে লিপ্তদের নেটওয়ার্কে উগ্রপন্থি শ্বেতাঙ্গ গোষ্ঠিরও অন্তর্ভুক্তি ঘটায় তদন্ত সংস্থাগুলোকে স্মরণকালে সবচেয়ে বেশী ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করতে হচ্ছে বলে জানা গেছে। বর্ণ-বিদ্বেষমূলক হামলা এবং চোরাগুপ্তা হামলার ঘটনাবলিকে অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসের বলি বলে মনে করছে প্রশাসন। জানা গেছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ৩ বছরে অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী হামলায় মারা যায় ৫৭ জন। এরমধ্যে ৪৭টিকেই বর্ণবিদ্বেষী হামলা হিসেবে শনাক্ত করা হয় এবং এসব হামলার জন্যে দায়ী হচ্ছে শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থিরা। এফবিআইয়ের সন্ত্রাস দমন বিভাগের সহকারি পরিচালক টিমথি ল্যাঙ্গেন কংগ্রেসে শুনানিকালে সম্প্রতি জানিয়েছেন, গত ১৮ মাসে অভন্তরীণ সন্ত্রাসের প্রবণতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে জঙ্গি হামলার পর চরমপন্থি শ্বেতাঙ্গদের অপতৎপরতা আগের যে কোন সময়ের তুলনায় শতগুণ বেড়েছে। এজন্য এমন পরিস্থিতিকে বাইডেন প্রশাসন ‘জাতীয় হুমকি’র তালিকায় নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

তদন্ত সংস্থাগুলোর নানা পদক্ষেপকে অবশ্য নাগরিক অধিকার সংস্থাসমূহের পক্ষ থেকে বিধি সম্মত হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এরফলে রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষকে কৌশলে দমনের প্রক্রিয়া অবলম্বন করেছে বাইডেন প্রশাসন-এমন মন্তব্যও উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। কংগ্রেসে ‘হাউজ ইন্টেলিজেন্স কমিটির কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স কমিটি’র প্রভাবশালী সদস্য আরকানসাসের রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান রিক ক্রোফোর্ড এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন, বিদেশী সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের সাথে ন্যূনতম সম্পর্ক নেই বা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের সমর্থনেও কোন হামলা বা আক্রমণের ঘটনা না ঘটা সত্বেও অভ্যন্তরীণ (বর্ণ-জাতি-ধর্ম) বিদ্বেষমূলক হামলাসমূহকে কেন্দ্র করে সিআইএ ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি অথরিটির সহযোগিতায় এফবিআই যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থাটিকে সন্ত্রাস দমনের সংস্থায় পরিণত করা হচ্ছে।’ এভাবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনের এখতিয়ার কারো নেই।

গত মাসে ফেডারেল আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি কর্তৃপক্ষসমূহের কাছে বিতরণকৃত এক পত্রে এ প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক বি গারল্যান্ড কিছুটা সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। ন্যাশনাল স্কুল বোর্ড এসোসিয়েশন কর্তৃক প্রেসিডেন্ট বাইডেন সমীপে প্রেরিত এক পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাটর্নি জেনারেল সেই পত্র বিতরণ করেছেন। কারণ, অনেক অভিভাবকই নাকি মামুলি কারণে তদন্ত সংস্থাসমূহের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন। এর ফলে নাগরিকের মৌলিক অধিকার হরনের মত পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয় বাইডেন বরাবরে প্রেরিত ঐ পত্রে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ৭ নভেম্বর, ২০২১, ১১:৩১ পিএম says : 0
যারা আসলেই সত্য বাঁদী লোক,এরা সব সময় হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন