শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী জীবন

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

প্রশ্ন : মেলা কি? কবে থেকে মেলার প্রচলন হয়? মেলায় যাওয়া এবং মেলা থেকে ক্রয় করা জিনিস খাওয়া শরীয়তের দৃষ্টিতে কেমন?
উত্তর : কোনো বিশেষ উপলক্ষে হরেক রকম নিত্যপ্রয়োজনীয় বা শখের সামগ্রীর পসরা মেলে দোকানীরা যেখানে বসে, ছেলে-বুড়ো সবাই যেখানে গিয়ে বিনোদনমূলক কেনাকাটা ও খাওয়া-দাওয়া করে, ঘুরে বেড়ায়, তাকেই মেলা বলা হয়। মেলা বহু ধরনের হতে পারে। যেমন বইমেলা, নববর্ষের মেলা, নবান্নের মেলা ইত্যাদি। এক কথায় কোনো মেলাকে জায়েজ বা নাজায়েজ বলা মুশকিল। কেনন, রুচীশীল কোনো মেলা যদি একটি বিশাল হাটের বা শরীয়তসম্মত বিনোদনের কেন্দ্রের রূপ নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে এতে যাওয়া বা কিছু খাওয়াতে খারাপ কিছু হবে বলে মনে হয় না, তবে ইসলামী চেতনা, বিশ্বাস, শিক্ষা আদর্শ ও রুচির পরিপন্থী কোনো মেলা, যেখানে শালীনতা, পর্দা ও ঈমান-আকীদা বিরোধী ক্রিয়াকলাপ অবাধ গতিতে চলে তাতে অংশগ্রহণ ইসলাম সমর্থন করে না। বিধর্মীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অশংরূপে অনুষ্ঠিত কোনো মেলা বা উৎসবে যোগদান সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। ওসব মেলার কোনো জিনিস খাওয়াও ইসলামী আত্মমর্যাদাবোধের পরিন্থী।
মেলার প্রচলন মানব জাতির ইতিহাসের সমান প্রাচীন। প্রাগৈতিহাসিক যুগেও উৎসবের সময় মেলা বসার কথা বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। ইসলামপূর্ব যুগে আরবের বিভিন্ন মেলার কাহিনীও ইতিহাসে রয়েছে। উপমাদশেও মেলা হাজার বছরের পুরোনো লোক-ঐতিহ্যরূপে স্বীকৃত। প্রাচীন রোম, পারস্য ও চীনেও মেলার প্রচলন ছিল বলে পুঁথি-পুস্তকে প্রমাণ পাওয়া যায়।
প্রশ্ন : আমি একজন শিক্ষিকা হিসাবে অফিস সময়ের মধ্যে গ্যাপ পিরিয়ডে যদি ব্যক্তিগত কাজ করি, বাসায় গিয়ে বিশ্রাম নেই বা ঘুরাফিরা করি, তাহলে শরীয়তের দৃষ্টিতে সঠিক হবে কি না?
উত্তর : আপনার এই বিশ্রাম, ব্যক্তিগত কাজ এবং ঘুরাফিরায় যদি বিদ্যালয়ের নিয়ম-শৃংখলা বা আপনার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে কোনো অসুবিধার সৃষ্টি না হয়, তবে শরীয়তের দৃষ্টিতে তা কোনো দোষ বলে বিবেচিত হবে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন