প্রশ্ন : সুন্নত নামাজ সব সময় ছেড়ে দিলে কী ধরনের গুনাহ হয়?
উত্তর : সুন্নত নামাজ দুই প্রকার। ০১. সুন্নতে মুআক্কাদাহ, ২. সুন্নতে জায়েদাহ। সুন্নতে জায়েদাহ ছেড়ে দিলে গুনাহ হয় না। এটি মুস্তাহাবের মতো। পড়লে সওয়াব, না পড়লে গুনাহ নেই। যেমন আসরের আগের চার রাকাত সুন্নত। সুন্নতে মুআক্কাদাহ অর্থ যেসব সুন্নত নামাজ নবী করিম সা. কখনোই ছাড়েননি। এর মর্যাদা প্রায় ওয়াজিবের মতো। যা ছাড়লে গুনাহ হয়। এসব সুন্নত ছাড়লে গুনাহ কী ধরনের হয় এ প্রশ্নের আগে এসব পড়লে সওয়াব কী পরিমাণ হয় তা ভাবা দরকার। কারণ, গুনাহর ভয়ে নামাজ পড়ার চেয়ে বা সওয়াবের জন্য তা আদায় করার চেয়ে বেশি গুরুত্ব এ জন্যই দিতে হয় যে, নবী করিম সা. সারাজীবন এসব নামাজ এত গুরুত্ব দিয়ে কেন পড়লেন। পাঁচ ওয়াক্তের সাথে যে জরুরি সুন্নত নামাজগুলো রয়েছে সে সম্পর্কে নবী করিম সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্তের সুন্নতে মুয়াক্কাদাহগুলো নিয়মিত আদায় করবে, তার জান্নাতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধা কেবল তার মৃত্যু। এ জন্যই দুনিয়ার সব সাহাবি, তাবেয়ি, তাবে তাবেয়ি ও সকল পরহেজগার বান্দারা এসব সুন্নত নিয়মিত জীবনভর পড়েছেন। তবে কোনো কারণবশত মাঝে মধ্যে এসব সুন্নত ছুটে গেলে কাজা করতে হয় না। কঠিন কোনো গুনাহও হয় না। কিন্তু পড়ার মধ্যে যে ফজিলত রয়েছে কোনো বুদ্ধিমান মানুষ ইচ্ছা করে এসব ছাড়তে পারেন না। হাদিস শরিফে এমনও এসেছে, হাশরের দিন বান্দার ফরজ নামাজে কিছু ত্রুটি থাকলে তা অন্যান্য নামাজ থেকে পূরণ করা হবে। অতএব, ফরজ ছাড়াও সব সুন্নত ও যথাসম্ভব অধিক নফল নামাজ নিজের আমলনামায় রাখা প্রত্যেকেরই কর্তব্য।
প্রশ্ন : কোনো ব্যক্তি জেনে শুনে হারাম অর্থ মসজিদ নির্মাণে ব্যয় করছে, আখেরাতে তার এ দিয়ে কোনো ফায়দা হবে কিনা, জানতে চাই।
উত্তর : হারাম অর্থ দিয়ে কোনো সওয়াব আশা করা যায় না। জেনে শুনে সওয়াব আশা করলেও ঈমানের ক্ষতি হয়। অতএব, এ ক্ষেত্রে আখেরাতে ফায়দা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখা যায় না।
প্রশ্ন : একটি ছেলে একটি মেয়েকে গোপনে বিয়ে করেছে। দু’জন অমুসলিম এ বিয়েতে সাক্ষী ছিল। এটা শরীয়ত মোতাবেক সঠিক হলো কিনা, জানতে চাই।
উত্তর : গোপনে কোনো বিয়ে হওয়াই ঠিক নয়। কেননা, বিয়ের ঘটনাটিকে যথাসম্ভব ফলাও প্রচার করার নির্দেশ ইসলামে রয়েছে। যাতে গোপনে কোনো দুষ্কর্মকে কেউ বিয়ের নামে চালিয়ে দিতে না পারে। আর এ ধরনের গোপন বিয়ে এড়ানোর জন্যেই কমপক্ষে দু’জন সাক্ষীর শর্ত বিয়ে সঠিক হওয়ার জন্য জুড়ে দেয়া হয়েছে। বিয়ের ক্ষেত্রে অমুসলিমদের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিয়েটি শুদ্ধ হয়নি। যথাসম্ভব দ্রুত তাদের মুসলিম সাক্ষীর উপস্থিতিতে মোহরানা ঠিক করে বিয়ে করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন