দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-সহকারী পরিচালক মো. কামিয়াব-ই-আফতাহী-উন-নবীকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ মামলার আসামির জামিন শুনানিকালে তাকে তলব করেন।
ওই বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিনউদ্দিন মানিক জানান, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কৃষি ব্যাংক থেকে দেড়শ’ কোটি টাকা (১৪৮ কোটি) আত্মসাৎ মামলার তদন্তসম্পন্ন করতে না পারায় এ কর্মকর্তাকে তলব করেন আদালত। আগামী ২৮ নভেম্বর সশরীরে হাইকোর্টে এসে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। আসামির জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান। দুদকের পক্ষে সংযুক্ত ছিলেন ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন।
এর আগে, আসামি কৃষি ব্যাংক বনানী শাখার সাবেক মহাব্যবস্থাপক ও শাখা ব্যবস্থাপক এবিএম আতাউর রহমানের জামিন শুনানির সময় কোর্ট এই আদেশ দেন। এই আসামির জামিন বিষয়ে গত ২০১৯ সালের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট চার সপ্তাহের রুল দিয়েছিলেন।
একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, ২০০৯ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের বনানী করপোরেট শাখায় একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন ফিয়াজ গ্রুপ’র স্বত্বাধিকারী ওয়াহিদুর রহমান। একই বছরের ১৪ ডিসেম্বরে ফিয়াজ গ্রুপের তিনটি অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফিয়াজ এন্টারপ্রাইজ, ফিয়াস ট্রেডিং ও অটোডিফাইনের নামে ঋণ আবেদন করা হয়। ২০১০ সালের ৭ এপ্রিল বোর্ড সভায় ১৫২ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন এবং ঋণের অর্থ ছাড় করা হয় ২০ এপ্রিল। এরমধ্যে কিছু পরিশোধের পর এখন ব্যাংকের পাওনা রয়েছে ১৪৮ কোটি টাকা।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পরস্পর যোগসাজশে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ও জাল কাগজপত্র সৃজন করে ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দুদকের তৎকালিন উপ-পরিচালক মো. জুলফিকার আলী বনানী থানায় এ মামলা করেন। এজাহারে ব্যাংকের ৬ সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক এবিএম আতাউর রহমান বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন করেন। তা নামঞ্জুর হলে তারা হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। হাইকোর্ট ২০১৯ সালের ২৯ আগস্ট রুল জারি করেন। রুল শুনানিতে তদন্তের বিষয়টি উঠে আসায় আদালত উপরোক্ত তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন