বুধবার ০৯ অক্টােবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৫ রবিউস সানী ১৪৪৬ হজিরী

জাতীয় সংবাদ

ব্যাংকার ও ভুয়া ডাক্তারকে পুলিশে দিলেন হাইকোর্ট

দুদকের পৃথক দুই মামলা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ এএম

দুর্নীতি দমন কমিশনের পৃথক দুই মামলায় এক ব্যাংকার এবং এক ভুয়া ডাক্তারকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দুদকের একটি মামলায় ওয়ান ব্যাংকের গুলশান শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মো. এমরান হোসেনকে পুলিশে দেয়া হয়। একই মামলার আরও দুই আসামি এমরান হোসেনের মা পেশোয়ারা বেগম এবং রাকিবা জাহানকে তিন সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদালতে মো. এমরান হোসেন ও তার মা পেশোয়ারা বেগমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজল ও রাকিবা জাহানের পক্ষে শুনানি করেন মো. কামরুল ইসলাম। সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক এবং দুদকের পক্ষে আশরাফ উদ্দিন ভুইয়া শুনানি করেন। প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে চারটি বীমা কোম্পানির অন্তত সাড়ে ১১ কোটি আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ওয়ান ব্যাংকের ৭ কর্মকর্তাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। অপর আসামিরা হলেন, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিউল আলম, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট বিমলেন্দু চৌধুরী, অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড রিলেশনশিপ ম্যানেজার মুনতাসির রহমান সিদ্দিকী, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল আদিল, জুনিয়র অফিসার মো. শামিম।
এছাড়া ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আবু কালাম মোহাম্মদ সাখাওয়াৎ হোসেন, প্রিন্সিপাল অফিসার মো. এমরান হোসেন, ব্যাংকের গ্রাহক আজিজুর রহমান, রাকিবা জাহান, তানভীর হোসেন, পেশোয়ারা বেগম ও সুবু তারা হাওলাদার এ মামলার আসামি।
মামলার এজাহারের তথ্য মতে, আসামিরা ২০১৯ সালের ৫ মার্চ থেকে গত বছরের ১০ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত সময়ে ‘পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে’ চারটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ভিন্ন ভিন্ন হিসাবসহ অন্যান্য ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখার হিসাবে (অ্যাকাউন্ট নম্বরে) ‘অবৈধভাবে’ ১১ কোটি ৪০ লাখ ২৩ হাজার ৯২১ টাকা স্থানান্তর করেন।
পরে ওই অর্থ বিভিন্ন কৌশলে উত্তোলন করে আসামিরা ‘আত্মসাৎ ও পাচার’ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। চারটি বীমা কোম্পানি হচ্ছে, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, প্রভাতি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, প্রেস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ও সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
এদিকে অন্য এক মামলায় ডাক্তারির জাল সনদধারীকে পুলিশে দিলেন একই ডিভিশন বেঞ্চ। দুদকের মামলায় আগাম জামিন নিতে আসা ডাক্তারির জাল সনদধারী মাহমুদুল হাসানকে শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন আদালত। মামলার ১৩ আসামিকে গ্রেফতার করতে দুদক, পুলিশের আইজি ও র‌্যাবকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. শাহানুর আলম।
আসামিরা জানিয়েছিলেন তারা চীনের তাঈশান মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস সনদ নিয়েছেন। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চীনের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, তাদের সনদ জাল। তারা আরও জানান, ট্যুরিস্ট ভিসায় চীনে গেলেও তাঈশান মেডিক্যাল কলেজে পড়েননি। এমন প্রতারণার ঘটনায় ক্ষুব্ধ চীনও। দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূূলক ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে দেশটি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন