ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ কিশোরের বুদ্ধি ও সাহসী তৎপরতায় বড় দুর্ঘটনার আশংকা থেকে বেঁচে গেল একটা ট্রেন। রক্ষা পেলো হাজারো যাত্রীর প্রাণ। সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের ঘুন্টি এলাকার পাশে ঘটে ঘটনাটি৷ রেললাইনের ৪৭৯.০ কিমিতে লাইনের জয়েন্ট প্রায় ৮ ইঞ্চি ভেঙ্গে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে দুপুরে ঢাকাগামী ৭৯৪ পঞ্চগড় এক্সপ্রেস যাবার সময় এই লাইনটি ভেঙ্গে গেছে।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে ট্রেন লাইন দিয়ে ৪ জন বন্ধু সহ হাঁটছিল কিশোর মাসুদ রানা (১৫)। হাটতে হাটতে হঠাৎ চোখে পড়লো রেল লাইনের ভাঙ্গা অংশ। বাড়ির পাশে রেললাইন হওয়ায় সে জানে একটু পরেই চলে আসবে ট্রেন। দেখা মাত্রই দৌড়ে খবর দিলেন রেললাইনের গেটম্যানকে। রেললাইনের গেটম্যান এসে মাসুদসহ লাল পতাকা উড়িয়ে আটকালেন কাঞ্চন ট্রেনকে।
কিশোর মাসুদ রানা চিলারং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র৷ কিশোর মাসুদ রানা বলেন, আমরা কয়েকজন বন্ধুমিলে রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলাম। দেখি রেললাইন ভাঙা সাথেই দৌড়ে গিয়ে বিষয়টি গেটম্যানকে জানাই৷ আমার মাধ্যমে এইরকম একটি কাজ করতে পেরে খুব ভাল লাগছে৷
কর্মরত গেটম্যান আজিজুল ইসলাম বলেন, মাসুদ খবর দেওয়ার পরে আমরা কাঞ্চন ট্রেনকে আটকায়। আমি আমার উদ্বর্তন কর্মকর্তা কল দিয়ে বিষয়টি অবহিত করি৷ তারা এসে বিষয়টি জেনে কাঞ্চন ট্রেন কে পার করে দেওয়া হয়৷
মাসুদ বিষয়টি না জানালে বড় একটি দুর্ঘটনা ঘটতে পারত৷ সে যে কাজটি করছে সেটা প্রশংসনীয়। তার এই মহৎ কাজের জন্য ঝুঁকি থেকে ট্রেন ও যাত্রীগুলো নিরাপদে যেতে পারলো।
স্থানীয় রেজাউল করিম বলেন, আমরা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে দেখি ট্রেন আটকে আছে সামনে কিছু লোক। দেখা মাত্রই আমরা সেখানে গিয়ে দেখি রেললাইনের কিছু অংশ ভেঙে গেছে৷ মাসুদ আমাদের এলাকার সন্তান সে যে কাজটি করেছে সেটি প্রশংসনীয়৷
ঠাকুরগাঁও রেলের সাব এসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মতিন, ঘটনাস্থল প্রদর্শন করে জানান, মাসুদ আমাদের গেটম্যান এসে বিষয়টি অবগত করার সাথে সাথেই আমাদের লোকজন সেখানে যান। আটকে থাকা কাঞ্চনকে স্লিপারের সাহায্য পার করার নির্দেশ দেন।
এছাড়া কাঞ্চন চলে যাবার পর একতা আসার আগেই লাইন ঠিক করার জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন