পড়ালেখা এইচএসসি পাশ। পেশায় ঔষধ ব্যাবসায়ী। অথচ নিজকে পরিচয় দিত সেনাবাহিনীর করণিক। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সেনাবাহিনীর বিভিন্নপদে চাকুরী প্রত্যাশীদের চাকুরী দেওয়ার নামে হাতিয়ে নিত লাখ লাখ টাকা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। দুজন প্রতারিত ব্যাক্তির অভিযোগের সূত্র ধরে তাকে আটক করেছে র্যাব। উদ্ধার হয়েছে নগদ টাকাসহ বিভিন্ন ভুয়া ডকুমেন্ট।
নাটোর র্যাব অফিসের কোম্পানী কমান্ডার অতিঃ পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই প্রতারকের নাম মনিরুল ইসলাম (৩০)। সে জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর নন্দিকুজা এলাকার কফির উদ্দিনের ছেলে।
নাটোর র্যাব অফিসের কোম্পানী কমান্ডার অতিঃ পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন জানান সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের কোবাত আলীর ছেলে ভুক্তভোগী শাহিন আলম (২৭) এবং ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর এলাকার তাজমুল হকের ছেলে নাসিম (২১) এর অভিযোগ পেয়ে গত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে মনিরুলের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব সদস্যরা। এসময় তার বাড়ি থেকে বিভিন্ন ভুয়া নিয়োগপত্রের সফট্কপি রক্ষিত দুটি পেইনড্রাইভ, বিভিন্ন ব্যাংকের ১৬ টি চেকবই,৭ টি বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ড, ১ টি ভুয়া ও ১ টি স্ক্যানকপিসহ প্রতারকের ৩ টি এনআইডি, চাকুরী দানের চুক্তিনামা ষ্ট্যাম্প- ৩ টি, ১২ টি জুডিশিয়ার ষ্ট্যাম্প, অর্থ লেনদেনের রেজিষ্টার ৮ টি, ২ টি ভুয়া নিয়োগপত্র, করণিক লিখা ভুয়া আইডি কার্ডেও ১ টি ফটোকপি, ৪ টি সীমসহ ২ টি মোবাইল ফোন প্রতারণালব্দ নগদ ৫৮ হাজার ১৪০ টাকা এবং ৮০০ ভারতীয় রুপি, উদ্ধার করা হয়। এসময় ওই প্রতারককে আটক করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার আরো জানান জিজ্ঞাসাবাদে মনিরুল বলেছে, সে নিজকে সেনাবাহিনীর সিএমএইচ, ঢাকায় করণিক পদে কর্মরত আছে বলে পরিচয় দিত। ওই পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন পদ যেমন সৈনিক, অফিস সহায়ক, মেসওয়েটার, ষ্টোরম্যান পদে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা হতে ৩য় পক্ষের মাধ্যমে চাকুরী প্রত্যাশী যুবকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিত। এছাড়া মনিরুল প্রতারণার কাজে জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজ নাম পরিবর্তন করে মোঃ চাঁন মন্ডল পরিচয় ধারন করতো।
এ-র আগেও তার বিরুদ্ধে ডিএমপির ভাষানটেক থানায় এবং শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা রয়েছে। এঘটনায়,মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন