শেখ রাসেল, শেখ জামাল, মোহামেডান ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের মতই জয় দিয়ে মৌসুম শুরু করলো ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। সোমবার সন্ধ্যায় কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা কাপের ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আবাহনী ২-১ গোলে হারায় নবাগত স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘকে। বিজয়ী দলের ফরোয়ার্ড মেহেদী হাসান রয়েল ও ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড রাফায়েল দ্য সিলভা একটি করে গোল করেন। স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের হয়ে এক গোল শোধ দেন উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার নরদিবেক মাভলনভ।
কাগজে-কলমে আবাহনী বেশ শক্তিশালী দল। তারা শিরোপা পুনরুদ্ধার করতেই এবার দল গড়েছে। দলে ভিড়িয়েছে রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা কোস্টারিকার তারকা ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল কলিনন্দ্রেসকে। স্থানীয় ভালোমানের বেশ ক’জন তারকা ফুটবলারও আছেন আবাহনীতে। সেই তুলনায় স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ তেমন তারকা নেই। ঘরোয়া ফুটবলের দ্বিতীয় স্তরের আসর বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে সেরা হয়ে এবারই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) টিকিট পায় দলটি। যে সুবাদে স্বাধীনতা কাপে খেলার সুযোগও পায় তারা। শুরুতে চমক দেখানোর আভাস দিলেও অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকা আবাহনীর বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। তারপরও বলা চলে আবাহনীর বিপক্ষে সমান তালেই লড়েছে দলটি। দুই গোল হজম করে ম্যাচের অন্তিম মূহূর্তে একটি গোল পরিশোধ করেছে স্বাধীনতা। যদি হাতে আরো সময় থাকতো তাহলে হয়তো ম্যাচের ভাগ্য অন্যরকম হতে পারতো।
ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে লড়াই করে আবাহনী। একের পর এক আক্রমণে তারা ব্যতিব্যস্ত করে তোলে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের রক্ষণভাগকে। তারপরও গোলের দেখা মেলে না। অবশেষে ম্যাচের ২৯ মিনিটে গোল পায় আবাহনী। এসময় বাঁ দিক থেকে নুরুল নাঈম ফয়সালের ক্রস ফেরাতে ইরানের ডিফেন্ডার সিয়ামাক কোরেশির হেডের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। বল তার মাথা ছুঁইয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর হেডেই লক্ষ্যভেদ করেন আবাহনীর মেহেদী হাসান রয়েল (১-০)। এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ব্যবধান বাড়াতে একের পর আক্রমণ চালায় আবাহনী। কিন্তু তাদের সব আক্রমণ মুখ থুবরে পড়ে স্বাধীনতার ডিফেন্ডারদের সামনে। তবে ম্যাচের ৭৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আবাহনী। এসময় প্রতিপক্ষের ভুল পাস থেকে বল পেয়ে আক্রমণে ওঠা ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড রাফায়েল দ্য সিলভাকে আটকানোর কোনো চেষ্টাই করেননি স্বাধীনতার ডিফেন্ডাররা। একটু এগিয়ে ডান পায়ের নিখুঁত শটে গোল করেন রাফায়েল (২-০)। ঠিকঠাক পজিশনে না থাকায় ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি গোলরক্ষক রাজু আহমেদ। ম্যাচের যোগকরা সময়ে (৯০+১ মিনিট) কর্ণার থেকে এক ডিফেন্ডারের পা হয়ে বল পান স্বাধীনতার উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার নরদিবেক মাভলনভ। দুর্দান্ত সাইডভলিতে তিনি গোল করলে কেঁপে ওঠে আবাহনীর ডাগআউট (১-২)। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ম্যাচ হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় বিপিএলের নবাগত দলটিকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন