সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

আ.লীগ দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০

শরীয়তপুর জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়ায় আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষ অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৭টি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে পালং মডেল থানা পুলিশ। উভয়পক্ষে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানা গেছে।

হাসপাতালে ভর্তি আহত রোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চিতলিয়া ইউনিয়নের গাঁজার বাজার এলাকার রফিক ও আউয়ালদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এই ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সেখানে পালং মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ আক্তার হোসেন উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। গতকাল বুধবার ভোরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ হাওলাদারের সমর্থকরা স্থানীয় গাঁজার বাজারে গেলে বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সালাম হাওলাদারের সমর্থক মানিক হাওলাদার শতাধিক লোক নিয়ে হারুন হাওলাদারের সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। তখন উভয়পক্ষ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত ককটেলের আলামত ও মানিক হাওলাদারের এলাকা থেকে ৭টি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে।
আহত জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, ঘটনার পরে মানিক হাওলাদারের লোকজন তাদের জিম্মি করে রাখে। হাসপাতালেও যেতে দেয়নি। পরবর্তীতে পুলিশের সহায়তায় তারা হাসপাতালে যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়েও ঢাকায় চাকরিরত পুলিশ সদস্য জাফর তাকে ডেগার দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হারুন অর রশিদ হাওলাদার বলেন, পারিবারিক বিরোধ রাজনৈতিক বিরোধে পরিণত করে মানিক হাওলাদার তাদের লোকজন নিয়ে আমার লোকদের মারধর করেছে। সেখানে অনেকে আহত হয়েছে। তিনজনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে থানায় মামলা করেছি। অপরপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদারের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়। তবে সে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এই বিষয়ে পালং মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আক্তার হোসেন বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে চিতলিয়ার গাজার বাজার এলাকায় দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে শুনে সেখানে যাই। পরবর্তীতে জানতে পারি রফিক ও আউয়ালদের পারিবারিক বিষয়। বিষয়টি পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য সেখানে উপস্থিত লোকদের বলে আসি। ভোরে শুনতে পাই সেখানে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। মানিক হাওলাদারের এলাকা থেকে ৭টি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। এই বিষয়ে হারুন অর রশিদ হাওলাদারের পক্ষ থেকে মামলা করেছে। ওই এলাকায় জাফর নামে একজন পুলিশ হেড কোয়ার্টারে কনস্টেবল পদে চাকরি করে। সে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদেরকেও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন