অবৈধ ইজিবাইক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ইজিবাইক ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
রিটের শুনানি শেষে গতকাল বুধবার বিচারপতি মামনুন রহমান এবং বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আতিক তৌহিদুল ইসলাম। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। আদেশের বিষয়ে তৌহিদুল ইসলাম বলেন, রিটের শুনানি নিয়ে আদালত ব্যাটারিচালিত অবৈধ ইজিবাইক জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এগুলো আমদানি নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। অবৈধ ইজিবাইক আমদানি থেকে বিরত থাকতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মে রুল জারি করা হয়েছে।
শুনানিতে তিনি বলেন, ইজিবাইকগুলোতে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ব্যাটারি চার্জ দেয়া হয়। এ ব্যাটারি পরবর্তীতে বজ্য হিসেবে মাটি, বায়ু এবং পানিতে মিশে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করে। ব্যাটারির এসিড মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া ইজিবাইকগুলো রুট পারমিট ছাড়াই রাস্তায় চলাচল করছে। এই ইজিবাইকের বিদ্যুৎ খাত থেকে সরকার কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। এ কারণে সারা দেশে চলা অবৈধ ইজিবাইক বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে আমরা করা হয়। এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর বাঘ ইকো মোটরস লিমিটেডের সভাপতি কাজী জসিমুল ইসলাম বাদী হয়ে রিট করেন। রিটে শিল্প সচিব, সড়ক পরিবহন সচিব, পরিবেশ সচিবসহ ৭ জনকে রিটে বিবাদী করা হয়।
প্রসঙ্গত, সারা দেশে কত সংখ্যক ইজিবাইক চলছে- এর সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এসিড ব্যাটারি চালিত অন্তত : ৪০ লাখ ইজিবাইক রাস্তায় চলাচল করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন