প্রশ্ন : বেতের নামাজ না পড়লে কি গোনাহ হবে, জানালে উপকৃত হবো।
উত্তর : এশাসহ বাকি পাঁচ ওয়াক্তের ফরজ নামাজ না পড়লে যেমন গোনাহ, বেতের না পড়লেও তেমন গোনাহ। কারণ এটি সর্বসম্মতভাবে স্থায়ী ওয়াজিব। কারণ, এ নামাজেরও কাযা আছে। কেউ কাফফারাহ দিলেও বেতেরসহ দিতে হয়।
প্রশ্ন : বর্তমান আধুনিক জামানায় মুসলমান কী পরিমাণ আরাম-আয়েশ ও বিলাসিতা করতে পারবে?
উত্তর : এ যুগে মুসলমানরা ঠিক ততটুকু আরাম-আয়েশ করতে পারবে, যতটুকু তারা আগের যুগে করতে পেরেছে। নিজে নিজের হালাল উপার্জন থেকে আল্লাহর হক ও বান্দার হক দিয়ে দেয়ার পর আল্লাহর নেয়ামত প্রয়োজন পরিমাণ ভোগ করতে পারবে। বিলাসিতা না করাই ভালো। ভদ্রতা, সৌজন্য ও সুরুচি যতটুকু দাবি করে ততটুকু (গোনাহর বাইরে থেকে সুন্নতের অনুসরণ করে) করতে পারবে। এর মধ্যে বৈধ আরাম-আয়েশ করাও জায়েজ। শরীয়তে নিজের প্রয়োজন পূরণের তিনটি ধাপ বলা আছে। ১. প্রয়োজন। ২. আরাম ও সুবিধা, এ দু’টি বৈধ ও অনুমোদিত। ৩. লোক দেখানো ও বিলাসিতা, এটি শরীয়তে হারাম। এই নীতির আলোকে যতটুকু আরাম আয়েশ করা যায়। তবে খুব সাদাসিধা সরল-সহজ জিন্দেগি ইসলামে পছন্দনীয়।
প্রশ্ন : আমি ফ্ল্যাট বাসায় ভাড়া থাকি, ঘরের একটি অংশে নামাজ ও ইবাদতের জন্য জায়গা রাখতে হয় শুনেছি। কিন্তু আমার বাসায় তেমন ব্যবস্থা নেই। যাদের বাসায় জায়গা আছে, তারা কি বেশি সওয়াব পাবেন?
উত্তর : কুরআন ও হাদিসে নামাজের গুরুত্ব এত বেশি যে, মনে হবে মানব জনমের উদ্দেশ্যই নামাজ পড়া। পুরুষের জন্য জামাতে নামাজ পড়া উত্তম। মসজিদে গিয়ে জামাত পড়া সাধারণ নিয়মে ওয়াজিব। তবে ফরজ ছাড়া বাকি সব নামাজ বাড়িতে পড়া উত্তম। মহিলাদের তো ঘরের কোণে আড়াল জায়গায় নামাজ পড়ার হুকুমই আছে। নারী-পুরুষ সবার জন্যই আল্লাহর রাসূল সা. এ নির্দেশ দিয়েছেন যে, তোমরা ঘরবাড়িকে কবরস্থানের মতো বানিয়ে রেখো না। ঘরেও নামাজ পড়ো। নামাজ দিয়ে ঘরবাড়ি আবাদ রাখো। যার বাড়ি বা ফ্ল্যাট ছোট, নামাজের জন্য আলাদা জায়গা রাখার সুযোগ নেই তার কোনো সমস্যা নেই। কারণ, বাড়িতে নামাজের জন্য আলাদা কোনো জায়গা রাখার বিধান ইসলামে নেই। সব পবিত্র জায়গায়ই নামাজ পড়া যায়। যারা আলাদা জায়গা রাখেন তাদের বাড়তি কোনো সওয়াব হবে না। যারা জায়গা রাখতে পারেন না, তাদের সওয়াব কমও হবে না। কারণ, ঘরে নামাজ পড়ার হুকুম আছে, কিন্তু আলাদা জায়গা নির্ধারণের হুকুম নেই। সম্ভব হলে ভালো, না হলেও ভালো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন