ওমিক্রন সংক্রমণরোধে সরকারি বিধিনিষেধের আজ প্রথম দিন (বৃহষ্পতিবার) খুলনায় সাধারণ মানুষের মাঝে বিধি মানতে উদাসিনতা লক্ষ্য করা গেছে। নগরীর সর্বত্রই অধিকাংশ মানুষ মাস্ক ছাড়া চলাচল করেছেন। অফিস-আদালতেও মাস্ক ব্যবহার তেমন একটা দেখা যায়নি। গণপরিবহণ যাত্রী বোঝাই করে চলাচল করেছে। ট্রেন-লঞ্চও নির্দেশনা না মেনেই পূর্ণযাত্রী নিয়ে চলাচল করেছে। হোটেল রেস্টুরেন্টে খেতে টিকা কার্ড প্রদর্শন করা লাগেনি। আবাসিক হোটেলগুলো টিকাকার্ড ছাড়াই বোর্ডার তুলেছে।
নগরীর ডাকবাংলো, শিববাড়ি, নিউমার্কেট, দৌলতপুর এলাকায় বেলা ২ টায় দেখা গেছে, বেশীরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। যাদের আছে, তাদের থুতনির নীচে মাস্ক ঝুলছে। ডাকবাংলো মোড়, খালিশপুর এলাকায় রেস্টুরেন্টগুলো ঘুরে দেখা গেছে, টিকা কার্ড ছাড়াই মানুষ খাওয়া দাওয়া করছেন। সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে দেখা গেছে, যাত্রী বোঝাই করে বিভিন্ন রুটে গণপরিবহণ চলছে।
ডাকবাংলো এলাকার রুচি রেস্টুরেন্টের মালিক আবদুল রশিদ প্রশ্ন রেখে বলেন, টিকা কার্ড না থাকলে কি রেস্টুরেন্টের ভিতরে খেতে আসা একজন মানুষকে বের করে দেয়া যায়?
নগরীর গ্লোরিয়াস হোটেলের মালিক ইমনে মাসুদ জানান, প্রথম প্রথম আমরা একটু ছাড় দিচ্ছি। পরবর্তীতে টিকা কার্ড ছাড়া কাউকে হোটেলে থাকতে দেয়া হবে না।
গল্লামারী এলাকায় যাত্রী বোঝাই বাসের চালক সিরাজ জানান, সরকার ভাড়া বাড়ায়নি। কিন্তু যাত্রী অর্ধেক নিয়ে চলতে বলেছে। অর্ধেক যাত্রী নিলে খরচ ওঠেনা। সেক্ষেত্রে দিনশেষে আমরা কি নেব আর মালিককেই বা কী দেব?
খুলনার রূপসা ঘাটে গিয়ে দেখা যায় অধিক যাত্রী নিয়ে নৌকা পারাপার করছেন মাঝিরা। সরকার যে আজ থেকে বিধিনিষেধ জারি করেছে তা অনেকেই জানে না। পূর্ণ যাত্রী নিয়ে নগরীতে চলাচল করছে ইজিবাইকও। মালিকের পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির কারণে তারা অধিক যাত্রী বহন করছে বলে রেজাউল নামের এক চালক জানান। তাছাড়া আজ থেকে যে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে তা তিনি জানেন না।
খুলনা জেলা প্রশাসক মো। মনিরুজ্জামান জানান, সরকারের দেয়া বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে। বিধি অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন