রাজশাহীর বাগমারার ইট তৈরির মৌসুমে অর্ধশতাধিক ইটভাটার অধিকাংশেই কয়লার বদলে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রহীন এসব ভাটার অধিকাংশই গড়ে ওঠেছে আবাদি জমি ও লোকালয়ে। ফলে ভাটার কালো ধোঁয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পরিবেশ। ঝরে পড়ছে বিভিন্ন ফলন্ত গাছের মুকুল। কমছে কৃষি জমি। উপজেলার বিভিন্ন পাকা সড়ক দিয়ে দিনরাত চলছে ইট ও মাটিবোঝাই ট্রাক। এতে অল্পদিনেই নতুন রাস্তা ভেঙ্গে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। এছাড়া রাস্তায় ধুলা উড়িয়ে এসব ট্রাক চলাচলের কারণে শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে স্থানীয়রা। অপরদিকে কয়লার মূল্য বেশি হওয়ায় অনেক ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের আকবর আলী বলেন, ইট ভাটায় কাঠ পোড়ানোর ফলে নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার ফসল। সেই সাথে দিনের পর দিন কমছে বৃক্ষ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ইট ভাটায় বৃক্ষ পোড়ানো বন্ধ করতে হবে। কিছু সংঘবদ্ধ চক্র ভাটা মালিকের সাথে চুক্তির ভিত্তিতে রাতের বেলায় সরকারি বিভিন্ন রাস্তার গাছ কেটে সরবরাহ করে ইটভাটায়। ইটভাটার মালিক অমর সরকার জানান, আগে প্রতিটন কয়লা ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায় পাওয়া যেত। এখন তার দাম বেড়ে হয়েছে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। ফলে ভাটা মালিকরা এখন কয়লার পরিবর্তে কাঠের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে বেশি। তারা তুলনামূলক কম দামে ইট বিক্রি করতে পারে যা কয়লায় পোড়ানো ভাটায় সম্ভব হয়না। ছাড়পত্রহীন অবৈধ ইটভাটা সম্পর্কে বাগমারা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মেসার্স মুন ব্রিকসের মালিক জাহাঙ্গীর আলম হেলাল বলেন, এই বিষয়গুলোকে আমরা সমিতির পক্ষ থেকে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করেছি। কিন্তু অদ্যাবধি কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক সুফিয়ান বলেন, অবৈধ ড্রাম চিমনির ইটভাটা এবং যেখানে কয়লার বদলে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে সেসব ইটভাটার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। অচিরেই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন