শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

খুলনা শিপইয়ার্ড পায়রা বন্দরর জন্য ১৩৫ কোটি টাকা ব্যায়ে দুটি টাগবোট তৈরী করবে

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:৪৬ পিএম

পায়রা সমুদ্র বন্দরের জন্য ১৩৫ কোটি টাকা ব্যায়ে দুটি টাগবোট তৈরী করবে খুলনা শিপইয়ার্ড। নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর উপস্থিতিতে অতি সম্প্রতি এ লক্ষে পায়রা বন্দরের সাথে খুলনা শিপইয়ার্ডের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ১৮ মাসের মধ্যে খুলনা শিপইয়ার্ড পরিচালন সহায়ক এদুটি নৌযান নির্মাণ শেষে পায়রা বন্দরের কাছে হস্তান্তর করবে।

৭০ টন বোলার্ড পুল ক্ষমতার এ নৌযান দুটি নির্মানে বাংলাদেশে নৌ বাহিনীর নিয়ন্ত্রনাধীন খুলনা শিপইয়ার্ডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর এম শামসুল আজিজ-বিএন ও পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান কমোডর আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী-বিএন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এ দুটি টানা জাহাজ পায়রা বন্দরের পরিচালন বহরে যুক্ত হলে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দরটির সক্ষমতা যথেষ্ঠ বৃদ্ধি পাবে। প্রায় ৩৮ মিটার দৈর্ঘ ও ১১ মিটার প্রস্থ এদুটি পরিচালন সহায়ক নৌযানই এককভাবে ১টি সমুদ্রগামী পণ্যবাহী বানিজ্যিক নৌযানেকে বন্দরে আনা নেয়া সহ যেকোন দূর্যোগেও নির্ভরতার সাথে কাজ করবে বলে জানা গেছে। ২৮০ টন ওজনের এসব টাগ জাহাজে দুটি করে শক্তিশালি মূল ইঞ্জিন ছাড়াও ৩টি করে জেনারেটর থাকবে। পাঁচ মিটার ড্রাফটের এসব টাগে সব ধরনের অত্যাধুনিক নৌ পরিচালন সরঞ্জাম সংযোজন করা হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষনে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের তৃতীয় পায়রা সমুদ্র বন্দর নৌ বানিজ্যে নতুন মাইল ফলক রচনা করতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে নৌ বন্দরটি নতুন সম্ভবনার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। এ সমুদ্র বন্দরকে ঘিরে সারা দেশের মত দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন সহ আর্থÑসামাজিক ব্যাবস্থাও প্রসার ঘটছে বলে জানান নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, খুলনা শিপইয়ার্ড ইতোপূর্বে পায়রা বন্দর ছাড়াও মোংলা বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের জন্যও একাধীক পরিচালন সহায়ক নৌযান নির্মান করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর জন্যও ইতোমধ্যে ছোট ও মাঠঝারী মাপের একাধীক যুদ্ধ জাহাজ নির্মান করে দক্ষিণ এশিয়ার নৌ নির্মান শিল্পে বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে। করোনা মহামারী সংকটের নানা প্রতিকুলতা অতিক্রম করেও নৌ বাহিনীর এ শিল্প প্রতিষ্ঠানটি গত দুটি অর্থ বছরেও মুনফার ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে।
স্ষ্ঠুু ব্যবস্থাপনা এবং সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মীদের নিয়মনুবর্তিতা সহ নিরলস পরিশ্রমের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর এম শামসুল আজিজ-বিএন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন