ফরিদপুরে নবজাতকের কপাল কাটার ঘটনায় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিতে আদালতে মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে ফরিদপুরের আদালতে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়। নবজাতকের বাবা মো. শফি খান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, মামলায় ছয় জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা সবাই ফরিদপুরের আল-মদিনা প্রাইভেট হাসপাতালের সঙ্গে জড়িত।
মামলার আসামিরা হলেন- মো. জাকারিয়া মোল্লা পলাশ, মো. আল হেলাল মোল্লা টগর, মো. গোলাম কিবরিয়া রাসেল, রহিমা রহমান, মো. আরিফুজ্জামান সবুজ ও হাসপাতালটির আয়া চায়না আক্তার।
শফি খান আরও বলেন, আমার প্রথম বাচ্চা নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। যে স্বপ্নটা ওরা নষ্ট করে দিয়েছে। আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মানিক মজুমদার গণমাধ্যম কে বলেন, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আল-মদিনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার মক্কেলের ক্ষতি করেছে। কারণ, হাসপাতালটিতে উন্নত চিকিৎসার কথা বলে তাদের সেখানে নেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে কোনো প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্স কিংবা আয়া ছিল না। আমার মক্কেল ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলাটি করেছেন। তারা আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আল-মদিনা প্রাইভেট হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এ হাসপাতালটি স্থাপিত হয় ২০০৭ সালে। ২০১৫ সাল থেকে এ হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি।
গত ২০২১ সালের ১৫ জানুয়ারি সকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দক্ষিণ ময়েজউদ্দিন মণ্ডলপাড়া গ্রামের শফিক খানের স্ত্রী রুপা বেগমকে (২০) সন্তান প্রসবের জন্য ওই হাসপাতালে আনা হয়। সন্তান প্রসবকালে ওই হাসপাতালের নার্স দাবি করা আয়া চায়না বেগম সিজার করলে, নবজাতকের কপালের বাম ভ্রুর ওপরে কিছু অংশ কেটে যায়। পরে নয়টি সেলাই দেওয়া হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিনই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়।
উল্লেখ্য এই আলমদিনা হাসপাতালটি নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে বেনাই ও ভগ্নীপতির নতুন দখলীয় দ্বন্দ্ব। জানাযায়, হাসপাতালে নবজাতকের কপাল কাটার ঘটনায় থানা পুলিশ প্রাথমিক অবস্থায় হাসপাতাল মালিক পক্ষ এবং নার্স ও আয়ার নামে মামলা করলে তিনজন ঘটনার দিন থেকে জেল হাজতে আছেন। এই সুযোগে হাসপাতালের মালিক পলাশের বোনের জামাই হাসপাতালটি নিজ দখলে নিয়ে নতুন ব্যবসা করার পরিকল্পনা করছেন এমন কথা শোনা যাচ্ছে। এই দখল নিয়ে মালিকানা সত্যের ঘটনায় পুনরায় ঘটতে পারে রক্তপাতের ঘটনা, এমন অভিযোগ আলমদিনা হাসপাতাল এলাকায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন