ফরিদপুরের জেনারেল হাসপাতালে রাসেল (৩৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি), রাতে ওই যুবককে কুপিয়ে জখম করা হয়। আহত যুবকের বাড়ি ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা এলাকায়। সে ওই এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়ে কর্মরত এক নার্সের সাথে কথা কাটাকাটির জের ধরে ওই যুবককে কুপানো হয়।
বিপথগামী ঐ যুবকের নাম দেবাষীস(৩৩) তার গ্রামের বাড়ী সালথা উপজেলার নকুলহাটি গ্রামে। দেবাষীস ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি বলে জানাযায়। প্রকাশ থাকে যে এর আগেও সদর থানার প্রধান ফটকের বিপরীত পাশে বারী প্লাজায় জনৈক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ উঠছে।
উল্লেখ্য, সদর হাসপাতালে স্ত্রীর চিকিৎসা নিতে আসেন, দেবাষীসের হাতে আহত যুবক মোঃ রাসেল পিতা: গ্রাম: টেপাখেলা সদর থানা ফরিদপুর। রাসেলের স্বজনকে, সেবা দিতে বিলম্ব হয়, এতে কথার কাটাকাটি হওয়া, নার্স প্রতিশোধ নিতে, ফোন করে হাসপাতালে ডেকে আনেন, ছাত্রলীগ নেতা দেবাষীসকে।
নার্সের হুকুম তালিম করতে হাসপাতালের মধ্যে প্রকাশ্যে রাত ৮:০০ টার দিকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে ঐ যুবকের, বুকে হাতে ও কাঁধে এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করা হয়, (চিকিৎসা নিতে আসা রাসেলকে)। প্রাথমিক অবস্থায় তাকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। তার অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটায়, তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
মেডিকেলের চিকিৎসকরা রাসেলের অবস্থা অবনতি দেখায় তাকে রাত প্রায় ১০:০০ টায়, ঢাকা বক্ষব্যাথি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার গণমাধ্যম কে জানিয়েছেন।
এ বিষয় গণমাধ্যমের সাথে কথা হয়, ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকারের সাথে। তিনি গণমাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,
আমরা রাসেলকে মেডিকেল থেকে উদ্ধার করে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠিয়েছি এবং দেবাষীস কেও গ্রেফতার করার জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন