শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

অমর একুশে বইমেলায় ছুটির দিনে উপচেপড়া ভিড়

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:১০ পিএম

অমর একুশে বইমেলায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মানুষের ঢল নেমেছে। পুরো মেলা প্রাঙ্গণেই ছিল দর্শনার্থীদের আনাগোনা। শিশু চত্বরও শিশুদের কলকাকলিতে মুখরিত ছিল।আজ মেলার চতুর্থ দিন (শুক্রবার) মেলা শুরু হয় বেলা ১১টায়। মেলা শুরু হওয়ার পর থেকে দর্শনার্থী ও পাঠকের সংখ্যা কিছুটা কম দেখা গেছে। তবে দুপুরের পর থেকে বাড়তে থাকে মানুষের উপস্থিতি। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই জনসমুদ্রে পরিণত হয় বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

বিকেল ৪টায় ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী : মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ সাহিত্য ও সংস্কৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রবন্ধ পাঠ করেন জাহীদ রেজা নূর ও শহীদ ইকবাল। আলোচক হিসেবে ছিলেন প্রশান্ত মৃধা ও আমিনুর রহমান সুলতান। সভাপতিত্ব করেন ভীষ্মদেব চৌধুরী। বইপ্রেমীদের আনাগোনা আর ঘোরাফেরায় মুখরিত হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। কেউ বই কিনছেন, কেউ হাতে নিয়ে দেখছেন আবার কেউবা প্রিয় লেখকের বই কবে আসবে এ খোঁজ নিচ্ছেন। বরাবরের মতো অনন্যা, কাকলী, তাম্রলিপি, প্রথমা, পাঞ্জেরি প্রকাশনীর প্যাভিলিয়নগুলো ছিল ক্রেতাদের প্রধান আকর্ষণ। পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কালী মন্দিরের পাশে শিশু চত্বরেও দেখা যায় শিশুদের ভিড়।তবে প্রতিটি প্রবেশ গেটে দর্শনার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা মেপে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক নিশ্চিতসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশের বিষয়টিতে জোর দেওয়া হলেও মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশের পর তা মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে।

বিভিন্ন প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মীরা জানান, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিববর্ষ ও ছুটির দিন বিবেচনায় দর্শনার্থী ও পাঠকের চাহিদা মেটাতে প্যাভিলিয়ন ও স্টলে যথেষ্ট বই মজুদ রাখাসহ সব প্রস্তুতি ছিল। তবে দুপুর পর্যন্ত মেলায় আসা দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। বিকেল থেকে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। ঘাসফুল প্রকাশনীর বিক্রেতা নাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রথম তিনদিনের তুলনায় আজ দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি। বইও বিক্রি হচ্ছে বেশ ভালো। প্রতিদিন যেখানে বসে থাকা লাগত, সেখানে আজ কোনো ফুসরত নেই।বই মেলায় ঘুরতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খালেদ আহমেদ বলেন, আমি প্রায় প্রতিদিনই মেলায় আসি। আজ মানুষের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই। কিছুটা বিরক্তও লাগছে। তবে আমেজ ফেরায় ভালো লাগাও কাজ করছে। কাকলী প্রকাশনীর প্রকাশক নাসির আহমেদ সেলিম বলেন, এবারের মেলায় প্রতিদিনই মোটামুটি ভালো ক্রেতা ছিল। করোনার মধ্যে এটা আমাদের জন্য ভালো দিক। তবে আজ ক্রেতা অনেক বেশি। আমরাও সেভাবে প্রস্তুত ছিলাম।

বাংলা একাডেমি তথ্য কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী আজ শুক্রবার নতুন বই এসেছে ১৭৭টি। এবারের মেলায় একদিনে নতুন বইয়ের সংখ্যা এটিই সর্বোচ্চ। বইমেলা ২০২২-এ এখন পর্যন্ত সর্বমোট নতুন বই এসেছে ২৩৬টি। এদিকে বেলা ৩টায় বইমেলার মূল মঞ্চে ‘আন্তর্জাতিক বলয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রবন্ধ পাঠ করেছেন বিশ্বজিত সাহা এবং আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইকবাল হাসান, তাজুল ইসলাম, ইউসুফ রেজা। এতে সভাপতিত্ব করেন অসীম কুমার দে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন